রাস্টেনবার্গ: বিশকাপ ফুটবলের ‘সি’ গ্রুপে শনিবার রয়্যাল বাফোকেং স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েন রুনি, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও জন টেরির মত খেলোয়াড়দের সুবাদে ফ্যাবিও ক্যাপেলোর ইংল্যান্ডকে ফাভারিটই বলছেন বোদ্ধারা।
ইংলিশদের কোচ হিসেবে ২৪টি ম্যাচের মধ্যে তার অধীনে জয় এসেছে ১৮টি। বলা যায় কোচের জয়ের ভাগ্য ভালোই। পাশাপাশি মার্কিন ও ইংলিশরা মিলিত হয়েছে নয়বার। দু’টি জয় যুক্তরাষ্ট্রের আর বাকিগুলো ইংল্যান্ডের। এ হিসেবে জয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
প্রায় ৬০ বছর আগে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ১-০ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ড হারে ১৯৯৩ সালে। যাই হোক দশমবারের মত আবারো মিলিত হচ্ছে তারা।
১৯৫০ সালে মার্কিনীদের জয়ের সময় ইংলিশ কোচের বয়স ছিল ৩ বছর। কিন্তু এখন তিনি ৬৩ বছরের একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ। এসি মিলান, জুভেন্টাস, এএস রোমা ও রিয়াল মাদ্রিদের মত কাবে আছে তার সাফল্যের ইতিহাস। এবার কোচ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন তিনি।
তাই তার দায়িত্বটা একটু বেশিই। এ জন্য যুক্তরাষ্টের বিপক্ষে খেলায় নামার আগে বলেন, “এটা সত্যি, সত্যিই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্ত। তবে আমি নির্ভার। কেননা দলটা অনেক উন্নতি করেছে। পাশাপাশি টিম স্পিরিটটাও ভালো। তাই আশা করি ভালই করব আমরা। ”
চোট মুক্ত দু’ুটি দলই খেলবে ৪-৪-২ পদ্ধতিতে। গোলরক্ষক ডেভিড জেমসের খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও ফ্যাবিও তা উড়িয়ে দিয়ে একাদশে রেখেছেন তাকে। ফলে দলে আর কোনো পরিবর্তন না আনার ইঙ্গিতই দিলেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোচ বব ব্রাডলে গোড়ালির চোটের কারণে প্রস্তুুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে না পারা স্ট্রাইকার জোজি আলটিডোরেকে অন্তভূর্ক্ত করেছেন একাদশে। ক্যাপেলোর মত তিনিও বলেন, “খেলায় জয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সেরা দলগুলোর মতই লড়বে। ”
ইংল্যান্ড দল: ডেভিড জেমস (গোলরক্ষক), গ্লেন জনসন, লাডলে কিং, জন টেরি , অ্যাশলে কোল, অ্যারন লেনোন, স্টিভেন গ্যারার্ড, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, জো কোল, এমাইল হেস্কে ও ওয়েন রুনি।
যুক্তরাষ্ট্র দল: টিম হাওয়ার্ড (গোলরক্ষক), স্টিভ চেরানডোল, জ্যা ডিমেরিট, ওগুচি অনিয়েউ, কালোর্স বোকানেগ্রা, লান্ডন ডোনাভান, মাইকেল ব্র্যাডলে, রিকার্ডো কার্ক, কিন্ট ডেম্পসে, জোজি আলটিডোরে ও এডসন বুডেল।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫২০ ঘ. জুন ১০, ২০১০
সিজি/