ঢাকা: বিশ্বকাপের শুরুটা মন্দ হয়নি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার। ছন্দময় ফুটবল দিয়ে মেক্সিকোর সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাফানা বাফানারা।
ভুল করে ব্রাজিল ভাবলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। জার্সি-প্যান্টের রংয়ে অনেকটাই মিল। খেলায় সেই লাতিনিয় ছন্দ। ছোট ছোট পাস করে এগিয়ে যাওয়া। কোচও ব্রাজিলিয়ান। শুধু খেলোয়াড়দের গায়ের রংটাই কৃষ্ণ বর্ণের। এই হলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ফুটবল দল।
১৯তম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ছিলো স্বাগকিকদের। প্রতিপক্ষ অভিজ্ঞ ম্যাক্সিকো। শান্ত-সুশৃঙ্খল দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়রা কৌশল আর গতিতে ম্যাক্সিকোকে পাশ কাটাতে পারেনি। কিন্তু শৈল্পিক ফুটবল দিয়ে মানুয়ের মন জয় করেছে ঠিকই। জিতে নিয়েছে একটি পয়েন্টও। অল্পের জন্য বেহাত হয়েছে পুরো তিন পয়েন্ট।
প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েছে মেক্সিকো। গোলের সুবর্ণ সুযোগও পেয়েছে। কিন্তু গোলবারের দু’পাশ দিয়ে স্লিপ করে বল বেরিয়ে গেছে একাধিকবার। দু’একবার পোস্টের ভেতরে থাকলেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আফ্রিকার গোলরক্ষক ইতুমেলেং। হাতের বিশ্বস্ত গ্লাভ জোড়াকে কাজে লাগিয়েছেন নিঃশ্বাস দূরত্ব থেকে।
কর্ণার থেকে ভেসে আসা বলের উচ্চতা মিস করায় ৩৮ মিনিটে পরাস্ত হয়েছিলেন ইতুমেলেং। আক্রমণে থাকা বেলা বল জালে ঠেলেছিলেন বটে। তার আগেই সহকারী রেফারি পতাকা তোলায়, অফসাইডের দায়ে গোল বাতিল করেন রেফারি।
বিরতির পর পাল্লা দিয়ে এগিয়েছে উভয় দলই। ৫৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে দারুণ এক গোল পেয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাঝমাঠ থেকে বাঁ দিকে আড়াআড়ি ঠেলে দেওয়া কাটালেগো এমপিলার অসাধারণ পাসে বল জালে জড়ান লেফট উইংগার সিফিয়ে শাবালালার। উম্মাতাল হয়ে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম।
ছেড়ে দেওয়ার নয় মেক্সিকো। তারাও উঠে পড়ে লাগে গোল শোধ দিতে। পালা করে চলে আক্রমণ। বার কয়েক প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হলেও ৭৯ মিনিটে সফল হয় মেক্সিকো। আফ্রিকার রক্ষণভাগের বাধা টপকে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে নিশানা ভেদ করেন অভিজ্ঞ রাফায়েল মার্কেজ।
জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। শেষবাঁশি বাজার আগে গোলের সুযোগ হাত ছাড়া হওয়ায় ড্র’তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
নাতনির মেয়ের মৃত্যু শোকে কাতর নেলসন ম্যান্ডেলা খেলা দেখতে না এলেও বাফানা বাফানাদের কাছ উপহার ঠিকই পেয়েছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১০১২ ঘ. ১২ জুন, ২০১০
এসএ