ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৪’ এর চূড়ান্ত পর্বের খেলা শুরু হয়েছে। এ পর্বে সাত বিভাগের ১৪টি দল অংশ নিচ্ছে।
রোববার (৩১ মে) বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বেলুন উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
ছেলেদের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও মেয়েদের জন্য ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট’ নামে এ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মিসবাহ উল আলম। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের আয়োজনে ছিল মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন।
এবারের টুর্নামেন্টে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপলেজলা পর্যায়ের খেলা সম্পন্ন হয় ২০১৪ সালের ৩০ জুন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ৬৩ হাজার চারশ’ ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৩৮ জন ছাত্র এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে ৬২ হাজার সাতশ’ ৩৪টি বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৬৬ হাজার চারশ ৭৮ জন ছাত্রী অংশ নেয়।
এর মধ্যে সাত বিভাগের শীর্ষ দু’টি করে মোট ১৪টি দল নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের খেলা শুরু হয়। আগামী ৬ জুন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট দু’টির ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ছেলেদের ফাইনাল এবং দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে মেয়েদের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
উভয় টুর্নামেন্টের বিজয়ী দলকে দেওয়া হবে এক লাখ টাকার প্রাইজমানি। রানার্স আপ দলকে ৭৫ হাজার টাকা ও তৃতীয় স্থান অধিকারী দলকে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানি।
এছাড়া চ্যাম্পিয়ন দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচ ও ব্যবস্থাপককে দেওয়া হবে একটি করে চার আনা সোনার প্রলেপযুক্ত মেডেল। রানার্স আপ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচ ও ব্যবস্থাপককে একটি করে চার আনা রুপার প্রলেপযুক্ত মেডেল এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচ ও ব্যবস্থাপককে দেওয়া হবে একটি করে চার আনা ব্রোঞ্জের মেডেল।
বিদ্যালয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি, ঝরেপড়া রোধ, শিক্ষার মান বাড়ানো এবং স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এ টুর্নামেন্টের মূল লক্ষ্য। এছাড়া লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশসহ সহিষ্ণুতা ও মনোবল বাড়াতে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে এ টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
২০১০ সালে বঙ্গবন্ধুর নামে ও ২০১১ সাল থেকে বঙ্গমাতার নামে এ টুর্নামেন্ট শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৫
এসএ/এসএন/এএসআর