ঢাকা: শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার গুরুত্ব কম নয়। এ উপলব্ধি থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে সরকার ২০১০ সালে জাতীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করে।
সোমবার (০৮ জুন) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৪ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৪ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে করগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয় ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনালে কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচে সিলেটের করগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে পরাজিত করে কক্সবাজারের ফয়জুন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে। ম্যাচে করগ্রামের হয়ে একটি করে গোল করেন নাজিম, জিয়া ও মামুন।
আর বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১-০ গোলে রংপুরের পলিচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। কলসিন্দুরের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন রোজিনা আক্তার।
তীব্র তাপদাহের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল গোল্ডকাপের ফাইনালে মাঠে নামতে হয়েছে ৮ থেকে ১২ বছরের ছেলেমেয়েদের। যেখানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রাই গরমের কারণে দুপুরে খেলতে রাজি হন না। সেখানে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের খেলানো হয়েছে দুপুরের কড়া রোদে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
ফাইনালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাচ শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বিজয়ী ও বিজিত দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন। টুর্নামেন্টের বিজয়ী দলকে এক লক্ষ টাকার প্রাইজমানি, রানারআপ দলকে ৭৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি এবং ৩য় স্থান অধিকারী দলকে ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োজিত এ টুর্নামেন্ট কাভার করতে আসা গণমাধ্যমকর্মীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। পদে পদে তারা নাজেহাল হয়েছেন। পরিচয়পত্র প্রদর্শন করার পরেও মাঠে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে নিরাপত্তা কর্মীরা। সাংবাদিকদের জন্য নির্ধারিত ১৫ নম্বর গেইটটি বন্ধ করে রাখা হয়। ফলে সাংবাদিকদের ঢুকতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের গেইট দিয়ে।
নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে গণমাধ্যম কর্মীরা আসার তথ্য ছিল না। খেলার শেষ সময়ে মাঠে প্রবেশের সুযোগ পায় তারা। তবে প্রেসবক্সে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই কাজ করতে হয়। প্রেস বক্সেও সাংবাদিকদের চেয়ার দখল করে বানানো হয় ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্টের কন্ট্রোল রুম। ফলে ম্যাচ কাভার করতে যে গুটি কয়েক সাংবাদিক এসেছিলেন তারা ভোগান্তির শিকার হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ০৮ জুন ২০১৫
ইয়া/এমআর