ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

খেলা

'মাঠেরও প্রাণ আছে'

ইয়াসির উবাইদ জিকো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৫
'মাঠেরও প্রাণ আছে'

ঢাকা: 'মাঠেরও প্রাণ আছে। যত্ন নিয়ে সঠিক পরিচর্যা না করলে মাঠ খেলার অযোগ্য তো হবেই।

দেখুন রোড রোলার দিয়ে মাঠ ঠিক করা হচ্ছে! পানি সঞ্চালন ও নিষ্কাষনের ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। আসলে মাঠটি যখন তৈরি হয় তখনই সঠিক পরিকল্পনা ছিল না। ' কথাগুলো বলছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক মো: ইয়াহিয়া।

বলা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কথা, এটি বাংলাদেশের জাতীয় ও প্রধান স্টেডিয়াম। আগে স্টেডিয়ামে সব ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হলেও এখন ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্সের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এ মাঠের কর্তৃত্ব মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। মাঠে ঘরোয়া ফুটবল, জাতীয় দলের অনুশীলনসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। একটি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের প্রথম শর্ত মাঠ। কিন্তু বিতর্কটা শুরু এখানেই। একটি মাঠে তিন ধরনের ঘাসে ভরা। তাও আবার ভিন্ন তিন জাতের। আর মাঠের মাঝখানে ছোট বড় গর্ত তো আছেই। কোথাও ঘাস নেই একদমই।

আর ১১ জুন এ মাঠেই কিনা বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের বাছাইপের্বর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে!

বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের মতে, 'এই মাঠ খেলার অযোগ্য। '

এর মধ্যেই ৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল। ক্ষতবিক্ষত এ মাঠের উপর আরেকটি ধকল যায় সে দিন। কিন্তু একটি খেলার পর কমপক্ষে ৫ দিন সময় দরকার মাঠটি প্রস্তুত হতে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠটির প্রস্তুত হবার সময় কোথায়?

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বাবুলের মতে, 'মাঠ ভালো আছে। আর একটি পূর্ণাঙ্গ মাঠ পেতে হলে কমপক্ষে তিন মাস সময় দরকার। ঘাস কাটার মেশিন ও রোলার আছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ অপ্রতুল। '

তবে এখানেই শেষ নয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠে পানি জমে যায়। কেন পানি জমে? কারণ মাঠের পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা ভালো নয়। তাহলে বিশকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের খেলার সময় যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে স্বাগতিকদের লজ্জায় পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

স্টেডিয়ামের প্রশাসক মো: ইয়াহিয়া এ ব্যাপারে বলেন, 'ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো নয়। তাই বৃষ্টি হলেই সমস্যা হচ্ছে। '

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানালেন, 'আসলে একটি মাঠের উপর এতো প্রেশার দিলে সমস্যা হবেই। আমরা যতটা সম্ভব মাঠের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। তবে মাঠের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। '

ক্রীড়া প্রেমীদের প্রাণের দাবি মাঠ বাড়াতে হবে। চল্লিশঊর্ধ্ব ফেডারেশন আছে  মতিঝিলস্থ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায়, কিন্তু মাঠ নেই। পল্টন ময়দান তো মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের স্বর্গরাজ্য। আর কমলাপুর স্টেডিয়ামের উন্নয়নের কাজ চলছে। একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম যে খুব দরকার এখন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ৯ জুন ২০১৫
ইয়া/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।