ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

আমরা শহুরে দর্শকরা কিন্তু অতো শ্লীল না : মোশাররফ করিম

খায়রুল বাসার নির্ঝর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
আমরা শহুরে দর্শকরা কিন্তু অতো শ্লীল না : মোশাররফ করিম মোশাররফ করিম/ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘যা বলবো, তাই লেখা যাবে?’ মোশাররফ করিম জানতেন প্রতিবেদকের সম্মতি মিলবেই। তাই প্রশ্ন শুনে, প্রশ্ন ফিরিয়ে দিতে দিতে, জুতো খুলে আরাম করে বসলেন পা ছড়িয়ে।



সন্ধ্যা পেরিয়েছে। ঢাকার দক্ষিণখানের পাকস্থলির মতো অলিগলি ঘুরে মোশাররফ নিয়ে গেলেন টিনশেডের ছোটখাটো একটা ঘরে। গলিজুড়ে প্রায় অন্ধকার। মাঝে মধ্যে দোকান থেকে ছিটকে আসা স্বল্প আলোয় তাকে চিনে ফেললে এলাকাবাসীর মধ্যে অস্থিরতা ছড়ায়। চমকে যায়, পিছু নেয়, কথা বলতে চায়। রাত, তাই সেলফি তোলার আবদারটা শুনতে হলো না। সেসব পেরিয়ে ঘরটায় গিয়ে বসলেন। একটা দৃশ্যের শুট শেষ করে ডাকলেন, ‘আয়, এখানেই কথা বলি। ’ নিজেই সুইচ টিপে সিলিং ফ্যানটা চালিয়ে দিলেন। তারপর প্রশ্ন শুনে, জুতো খুলে, ‘যা বলবো, তাই লেখা যাবে?’ বলতে বলতে হেলান দিলেন বালিশে।

বাংলানিউজ : আপনার দর্শক দুই শ্রেণীর। একদল যাদেরকে ওইভাবে টিভি নাটকের নিয়মিত দর্শক বলা চলে না। কিন্তু ভালো গল্প পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরেকদল, যাদের উদ্দেশ্য থাকে বিশুদ্ধ বিনোদন। তারা হাসতে চায়। দুই শ্রেণীর মনস্তত্ত্ব দুই ধরনের। দর্শকের, বা ভক্তের এই যে বৈপরীত্য; সেটা কি আপনার কাজকে, ভাবনাকে, সিদ্ধান্তকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে?
মোশাররফ করিম : প্রমথ চৌধুরীর ‘সাহিত্যে খেলা’ নামে একটা প্রবন্ধ আছে। যেটা আসলে মনে হয় আমার কাছে, নাম দিতে পারতো ‘শিল্পের খেলা’। তাতে কথাগুলো এইভাবে বলা আছে, মনকে কখনও বাজারে পাঠিও না। তাহলে সৃষ্টি হবে না। যদি চিন্তা করা হয়, আমি এই লেখাটা লিখবো ‘তাদের’ জন্য। তার মানে আমি কিন্তু একটা লক্ষ্য ঠিক করে নিলাম। মনকে বাজারে ছেড়ে দিলাম। আবার কেউ চিন্তা করে, আমি এমন একটা গল্প লিখবো যেটা আসলে খুবই গভীর হবে এবং এতো গভীর হবে যে আমি নিজে না বুঝলেও ভালো হয়। এই দুটো শ্রেণীর লোকই আসলে মনকে বাজারে পাঠায়।

তিনি (প্রমথ চৌধুরী) বলছেন, এটা করলে হবে না। কারণ চেতনের সঙ্গে অবচেতনের যে মিলন, মিলন মানে তো সেক্স, সেক্স থেকেই কিন্তু সৃষ্টি। তো, তোমার চেতনকে যখন বাজারে পাঠিয়ে দাও, তখন তোমার অবচেতন কাঁদে। মিলন হয় না। তখন যে সৃষ্টি হয়, সেটা হয় বাওয়া ডিম।

[পাশে আরেকজন বসে মন দিয়ে কথা শুনছিলো। মোশাররফ করিম তার দিকে তাকালেন। ‘বাওয়া ডিম’ শব্দের অর্থ ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছে কি-না, সেটা ধরার চেষ্টা। তারপর নিজেই বুঝিয়ে দিলেন পরের বাক্যে, ‘হাঁস শুধু শুধু ডিমটা পাড়ে, বাচ্চা হয় না। ’]

কিন্তু চেতনের সঙ্গে অবচেতনের যখন সেক্সটা হয়। মানে আমি কার জন্য অভিনয় করছি, সে কি ইন্টেলেকচুয়াল নাকি রিকশাওয়ালা। সে রকম কিছু না ভেবে আমার চেতনের সঙ্গে অবচেতনের যখন মিলনটা হয়, তখনই অভিনয়টা করি। সেটা তখন রিকশাওয়ালার ভালো লাগে, আরেকজনেরও ভালো লাগে। এমনটা যখন হয়, তখন আমি আনন্দিত হই। আর আনন্দ হচ্ছে সংক্রামক, ছড়িয়ে যায়।

তোমার প্রশ্ন যেটা ছিলো, আমি কার জন্য প্রস্তুতিটা নিই, এর জন্য নাকি তার জন্য? আমি কারও জন্যই প্রস্তুতি নিই না। আই জাস্ট ডু ইট, অ্যান্ড আই লাইক টু এনজয় ইট। আমি তৃপ্ত হয়ে বাসায় ফিরতে চাই। আমি তৃপ্ত হলে, সেটা সংক্রামক, সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিতে পারি। ধরা যাক একজন রিকশাচালক। খুব কম রিকশাওয়ালাকে বলতে শুনেছি যে, ‘আমি হ্যাপি। ’ সে কিন্তু এই কাজটায় খুশি না। কোনো রিকশাওয়ালাই কিন্তু যাত্রীকে খুব একটা পছন্দ করে না। আবার যে আরোহী সে-ও রিকশাওয়ালাকে যে খুব পছন্দ করে, তা না। এই রিকশায় করে তাকে যেতে হয় প্রতিদিন। দশ টাকার জায়গায় পনেরো টাকা চায়, তা নিয়ে দর কষাকষি হয়। কখনও হাতও ওঠে।

[তারপর মোশাররফ একটা গল্পে ঢুকে গেলেন। একদিন, সময়টা বলেননি, রাস্তা। তিনি হাঁটছেন। বিপরীত পাশে রিকশা। চালক, একা যাত্রী। যাত্রীর বেশভূষা অভিজাত। এভাবে মোশাররফকে, মাঝরাস্তায় দেখে, রিকশাওয়ালার চক্ষু স্থির। তার মন তখন নেই চাকায়, হ্যান্ডেলে, রাস্তায়। ঘাড় ঘুরিয়ে মোশাররফকে দেখে। রিকশা খানিকটা এগিয়ে দূরে চলে যায় তবুও। যাত্রী বিরক্ত হয়, ‘এই, তুমি পেছনে তাকিয়ে কি দ্যাখো?’ বলে সে-ও কৌতূহলে উঁকি দেয়, এবং দেখতে থাকে, রিকশাওয়ালার মতোই, একটু আগে যাকে ঘাড় ঘোরানোর জন্য ধমক দিয়েছিলো। ঘটনাটি বলে মোশাররফ আলোচনায় ফেরেন। ]

তার মানে, শিল্প কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত দুই রুচির, দুই আর্থসামাজিক, দুই মেরুর মানুষকে এক জায়গায় নিয়ে এলো। শিল্পের সেই শক্তি আছে। অথবা বলতে পারি, একজন শিল্পীর সেই শক্তি আছে, যদি সে শিল্পকে লালন করতে পারে। সেটা সম্ভব হয় তখনই, যখন শিল্পী নিজে তৃপ্ত হয়। নইলে না।

বাংলানিউজ : আগের প্রশ্নটা করার একটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা হচ্ছে, এখনকার যারা শহুরে দর্শক। মানে যারা বৈশ্বিক সিনেমা দেখে, কিংবা মোশাররফ করিমকে শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে বিশ্বাস করতে চায়, তারা অনেকেই আপনার সমালোচনা করছে। অভিযোগ, মোশাররফ হাসি-তামাশার নাটক বেশি করছেন। এমন কিছু শব্দ আসছে তার সংলাপে, যা শুনতে ভালো লাগে না।
মোশাররফ : একটা সংলাপ যেমন ‘হাঙ্গার মধ্যে লাউ বানছো ক্যারে?’ এটা অনেকেরই ভালো লাগেনি। আমাদের যে গ্রাম, বেশিরভাগ লোকই তো গ্রামের। তারা কিন্তু এটা ভীষণ পছন্দ করেছে। আবার এটাও শুনেছি, ‘হাঙ্গা’ আবার কেমন শব্দ? না, এখানে প্রয়োগ করা ঠিক না। কিন্তু ওই চরিত্রটি প্রকাশ করার জন্য, অথবা ওই আঞ্চলিকতা বোঝানোর জন্য হাঙ্গা শব্দটা অশ্লীল হয় না, বরং অলংকার হয়। এখন মূল কথা হচ্ছে, আমরা শহুরে মানুষ যারা, গ্রামীণ অনেক শব্দকে আমাদের গায়ের জোরে অশ্লীল বানিয়ে দিই। ওটা শুনতে আমাদের ভালো লাগে না। কারণ আমরা শহরে আছি। আমাদের নাক উঁচু। যে কারণে বুয়ার মতো একটা চমৎকার শব্দকে কাজের মেয়ে বানিয়ে দিয়েছি... বুয়া মানে তো বোন...

[টিনের চালে ঢিলের মতো কিছু একটা পড়লো। বিকট শব্দে। কথার সঙ্গে আবহের চমৎকার মিল। যেন ঢিলের এই শব্দটা প্রতিবাদ করতে নেমেছে এখানে! মোশাররফের কথায় যেন তার পূর্ণ সমর্থন!]

আমরা শহুরে দর্শক কিন্তু অতো শ্লীল না। মানে বোঝাতে পারলাম কথাটা? শব্দগুলোকে আমরা নিজ দায়িত্বে অশ্লীল বানিয়ে দিয়েছি। যেমন ‘ভাতার’ শব্দটা। এটা তো গালি না। ভাত খেতে দিচ্ছে, রোজগার করছে, ওই অর্থে ভাতার। যেমন ফহিন্নি, এটা কিন্তু গালি না। ফহিন্নি হচ্ছে ফকির-দরবেশ, ওই জায়গা থেকে। তাদের ঝোলা-ছালা। টাকা পয়সা নেই। বরং আমাদের শিষ্ট নাটকে, শহুরে নাটকে দেখা যাচ্ছে যে, হারামজাদা শব্দটি ব্যবহার করছে। এটি বরং অনেক অশ্লীল। কারণ এর মধ্যে যৌনতা উপস্থিত ভীষণভাবে। বোঝাতে পারলাম? 

কিন্তু ওই শব্দগুলো ওই চরিত্রের মধ্যে যখন ঢোকে, তখন ওই চরিত্রটা ওই জনগোষ্ঠীর জন্য ভীষণভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে। এখন ছিদ্রান্বেষীর অভাব তো আসলে কোনোকালেই ছিলো না। তাদের তো ধরণই থাকে এটা ‘ভালো লাগে না’। ভালো লাগাতেই চায় না। আগে থেকেই প্রস্তুত থাকে যে, এটা আমার ভালো লাগবে না।

বাংলানিউজ : এই সমালোচনাগুলো যে হচ্ছে, সেগুলো তো আপনার কানেও আসে। সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি হয়, আপনারও চোখে পড়ে। এটা কি আপনাকে বিরক্ত করে কোনোভাবে?
মোশাররফ : কখনও কখনও যে করে না, তা কিন্তু না। কখনও যে ভুল করে ফেলি না, তা-ও না। আমাদের এখানে কাজের যে অবকাঠামো, সে জায়গা থেকে একটা সমস্যা হয়, অনেক সময় কাজ তাড়াহুড়া করে নামানো হয়। এটা করতে গিয়ে দেখা গেলো যে এমন একটা শব্দ নাটকের মধ্যে চলে গেছে! অভিনেতা তখন তো তন্ময় থাকে, ওই চরিত্রের মধ্যে। কিন্তু ওই চরিত্রের মধ্যে থাকলেও অভিনেতার যে সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে কিছু থাকতে পারবে না, তা-ও না। কিন্তু এটাকে সম্পাদনা করার দায়িত্ব পরিচালকের, বা টিভি চ্যানেলের। সেটারও কিন্তু প্রয়োজন আছে ভীষণভাবে। অভিনেতা যে অভিনয় করছে, সেটা তো ‘র’। আমরা তো আখের ছোবড়াসহ খাই না, তাই না? ফিল্টারটা করতে হবে।

[তারপর আলোচনা ঘুরে চলে যায় নাটকের বাজেটে, বিজ্ঞাপনে। মোশাররফ বলতে চান, টাকা যে হারে কম, ভালো কাজের সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। আলোচনায় ঢুকে পড়ে সিলেটের এক ভক্তের প্রসঙ্গ। ‘দি আর্টিস্ট’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন মোশাররফ। সেটা দেখে ভক্ত দারুণ মর্মাহত। ফোন করে কাঁদোকাঁদো গলায় সে বলে, ‘আপনি আর এ ধরনের নাটকে অভিনয় করবেন না। ’ কারণ, নাটকটির গল্পে মোশাররফ যে চরিত্রটি করেছেন, সে অভিনেতা। খুবই ব্যস্ত। পরিবারে সময় দিতে পারে না একেবারেই। ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত। মারা যাচ্ছে...। গল্প শেষ করে মোশাররফের মনে হলো, আলোচনা শাখা-প্রশাখা মেলেছে অনেক।   বললেন, ‘আচ্ছা প্রশ্নটা যেন কি ছিলো?’]

বাংলানিউজ : প্রশ্ন ছিলো, এই সমালোচনাগুলো আপনাকে প্রভাবিত করে কি-না! উত্তর পেয়ে গেছি। এখন যেটা জানতে চাইবো, আসলেই মোশাররফ করিম তার জায়গা থেকে, দক্ষতা থেকে, একটু সরে গেছেন কি-না... গল্প, অভিনয় সবমিলিয়ে পুনরাবৃত্তি কি খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে?
মোশাররফ : বাণিজ্যের একটা ঝামেলা আছে। বাণিজ্য কখন তোমাকে যে গিলে খাবে, টের পাবে না কিন্তু। টের তখনই পাবে, যখন দেখবে যে তোমার ভালো লাগছে না। এ ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, সামনে আমাকে যেভাবে চলতে হবে, ঠিক আছে আমি দাবিটা মেটানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু আসলে একই ধরনের চরিত্র যদি বারবার আমার কাছে আসে; এবং সেটা আসলে আমি ফিরিয়ে দিলাম তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু সেটা নিয়ে নানান ধরনের, আমাদের দেশীয় যে পদ্ধতি; হাতে ধরা, ‘ভাই সময় দিতেই হবে’, বিভিন্ন জায়গা থেকে সুপারিশ; এগুলো তো শিল্পীর স্বাধীনতাকে নষ্ট করে। এই কথাগুলো তো আর সবাই জানে না। ওই ব্যাপারটা নেই যে একজন লোক ‘না’ বলেছে, যে তার ইচ্ছা করছে না কাজটা করতে; আচ্ছা ঠিক আছে থাক। এটা নেই।

ঢেঁকি গেলানো, এবং ঢেঁকি গেলাটা আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে আছে। আমি যেটা করতে চাই না, করতে ইচ্ছা করে না; সেটা আমাকে দিয়ে করানো উচিত না। আবার এমনও হয়, ঈদের সময়, একটি অসাধারণ গল্প, সেটা আমি তখন করতে চাচ্ছি না। তার মানে আমি ওই কাজটা করার জন্য প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছি। দু’দিন কিছু করবো না, শুধু চরিত্রটি নিয়ে ভাববো, তারপরে চরিত্রটি তৃপ্তি মতো করবো। কিন্তু তখন খুব তাড়াহুড়া হয়ে যায়, ‘না ভাই ঈদের মধ্যেই জমা দিতে হবে। ’ এসব জিনিসগুলো আছে।

শিল্পী হিসেবে নিজের যে দাবিগুলো সেই জায়গার যে খারাপ লাগা, সেটা বললাম। কিন্তু এতো ধরনের ঝামেলা-টামেলা, আমাদের অবকাঠামোগত-অর্থনৈতিক সমস্যা; এসবের মধ্যেও আমি এক ধরনের চেষ্টা করি আর কি! এখন এই জায়গাটাই এমন। তুমি লিখতে বসলে, তোমার একদম মৌলিক ব্যাপার, একা বসে লিখলে। দেয়ার ইজ নোবডি টু ডিস্টার্ব ইউ। কিন্তু অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি তো আসলে একা, ঠেলে হবে না। এখানে অনেকগুলো শাখা, সবাইকে ঠেলতে হবে।

আলোচনা শেষ হয়েও হয় না। রেকর্ডার বন্ধ হয়। ছোট্ট ঘরটায় তিনজন থেকে বাড়তে বাড়তে এতোক্ষণে বহু হয়ে গেছে। কেউ কথা শুনতে, কেউ ‘ওপরে লাইট হয়ে গেছে, শটে যেতে হবে’ এটা জানাতে। মোশাররফ করিমের আলোচনা তখন সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়েছে। যদিও ভারতে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল চলে না, তবুও ইউটিউবের সূত্রে কলকাতায় এদেশী নাটকের কতো দর্শক! সে প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম দু’টো ঘটনা বলে উঠে যান। সিঁড়ি ভেঙে চারতলায় যেতে যেতে বললেন, ‘এখানে আরও ভালো কাজ করে ফাটিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু। সেটা সম্ভব, হবেই। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি, এখন থেকে আর এতো কাজ করবো না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ