ইলিয়াস কাঞ্চন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেতা।
বাংলানিউজ: প্রায় দুই বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহে আপনার ছবি দেখা যাচ্ছে না।
ইলিয়াস কাঞ্চন: ঠিক বলেছেন। ২০১৩ সালে আমার সর্বশেষ সিনেমা মুক্তি পেয়েছিলো। শাহীন সুমন পরিচালিত ‘জটিল প্রেম’-এ বাপ্পির ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এখন অবশ্য সিনেমা নিয়ে আমার তেমন ব্যস্ততা নেই।
বাংলানিউজ: ডিসেম্বরে (১১ অথবা ১৮ ডিসেম্বর) আপনার ‘এপার ওপার’ ছবিটি মুক্তি পেতে পারে। ছবিটির টিজারও বের হয়েছে।
ইলিয়াস কাঞ্চন: তাই নাকি? জানি না তো! দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছি। তিনি গুণী পরিচালক। এই ছবিটিও ভালো হবে আশা করি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এতে আমি নায়িকার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছি। প্রথমবারের মতো এই প্রজন্মের কোনো নায়িকার বাবা হলাম।
বাংলানিউজ: ‘বাংলার ফাটাকেষ্ট’ ছবির ভবিষ্যৎ কী?
ইলিয়াস কাঞ্চন: খুব আগ্রহ নিয়ে ওই ছবির কাজ করেছিলাম। ছবিটি আটকে আছে সেন্সরবোর্ডে। এর ভবিষ্যৎ খুব ভালো বলে মনে হচ্ছে না। রাজনীতির বিষয়-আশয় থাকায় মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। এমন হলে তো দেশে শুধু প্রেম-ভালোবাসার ছবিই করতে হবে!
বাংলানিউজ: ‘হঠাৎ দেখা’ ছবিতে আপনার সহশিল্পী ওপার বাংলার দেবশ্রী রায়। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
ইলিয়াস কাঞ্চন: কবিগুরুর কবিতা অবলম্বনে ছবিটা তৈরি হচ্ছে। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের সঙ্গে কলকাতার রেশমি পিকচার্স প্রযোজনা করছে। এই তো কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে ট্রেনে আমরা কাজ করলাম। দেবশ্রী খুব ভালো অভিনেত্রী। পরের ধাপের শুটিংয়ে আমাকে কলকাতায় যেতে হবে। এটি পরিচালনা করছেন রেশমী মিত্র ও শাহাদাত হোসেন বিদ্যুৎ।
বাংলানিউজ: চলচ্চিত্র পরিচালনার ইচ্ছে আছে?
ইলিয়াস কাঞ্চন: আমার সন্তানেরা প্রায়ই বলে, আমির খানের মতো কেন বছরে অন্তত একটি ছবি করি না! আমি ওদের চাওয়াকে মূল্যায়ন দিতে চাই, এমনকি আমি নিজেই চাই সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন কিছু ছবি বানাতে। কিন্তু বাস্তবতার কথা ভেবে পারি না। সিনেমা বানিয়ে কী হবে? ছবিটা দেখাবো কোথায়? হল আছে? নাই। ডিজিটাল ব্যাপারটা শুধু আছে মোবাইল ফোন আর ফেসবুকে। ছবি চালাতে হল মালিককে টাকা দিতে হবে, আবার প্রজেকশন ভাড়া করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে- এসব পারবো না। অভিনয় করে কিছুটা সম্মানের পাত্র হয়েছি, সেটা হারাতে চাই না।
বাংলানিউজ: ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন তো চালিয়ে যাচ্ছেন?
ইলিয়াস কাঞ্চন: চলচ্চিত্র আর পরিবারের বাইরে ওই কাজটিই করছি গুরুত্ব দিয়ে। ক’দিন আগে কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীতে গিয়েছিলাম ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। এবার যাবো জাকার্তায়। আগামী ৩০ নভেম্বর যাচ্ছি। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (হু) আয়োজনে সেখানে একটি সেমিনারে অংশ নেবো। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সড়ক নিরাপত্তার কারিগরি পরামর্শদাতা হিসেবে আমি সেখানে অংশ নেবো। ঢাকায় ফিরবো ৫ ডিসেম্বর।
* ‘এপার ওপার’ ছবির টিজার:
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৫
এসও/জেএইচ