স্বপ্নের ছবি বলে কথা। সঞ্জয়লীলা বানসালির অফিসে এখনও ‘বাজিরাও মাস্তানি’র পুরনো পোস্টার ঝুলছে।
এজন্য প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা সালমান-ঐশ্বরিয়া অভিনীত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির ‘আলবেলা সাজান’ গানটি ব্যবহার করেছেন বানসালি। ওই ছবিরও পরিচালক ছিলেন তিনি। পেশওয়া যোদ্ধা বাজিরাওয়ের উত্থানের নেপথ্য সংগীত হিসেবে ব্যবহার হয়েছে এটি। ছবিটির অন্য গানগুলোও সাড়া ফেলেছে বেশ। ‘মালহারি’ গানের জন্য তো রণবীরকে শক্তি জমিয়ে রাখতে বলা হয়েছিলো! আর প্রথমবার একসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে দীপিকার নাচের সুবাদে ‘পিঙ্গা’ গানটিও আছে আলোচনায়। প্রিয়াঙ্কাকে দেখা যাবে বাজিরাওয়ের প্রথম স্ত্রী কাশিবাঈ চরিত্রে।
এরই মধ্যে নানাদিক দিয়ে তুমুল আলোচনা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ছবিটি। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমার, সোনাক্ষী সিনহা, রিতেশ দেশমুখ, সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো অনেক তারকা ডাবস্ম্যাশ করেছেন। মূল দুই চরিত্র নিয়ে বানানো একটি গেমসও এসেছে বাজারে। এর নাম ‘বাজিরাও মাস্তানি দ্য গেম’।
ছবিটির প্রচারণায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরছেন রণবীর-দীপিকা। পর্দার বাইরেও তাদের প্রেম নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। ফলে দু’জনের রসায়ন নিয়ে সবখানে কৌতূহল দেখা যাচ্ছে। ছবির প্রচারণায় সবার সামনেই দীপিকার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন রণবীর। রোমিওদের মতো। এরপর আওড়েছেন ছবিটির জনপ্রিয় সংলাপ- ‘বাজিরাও নে মাস্তানি সে মোহাব্বাত কি হ্যায়, আয়াশি নেহি। ’
বাজিরাও চরিত্রে রণবীর ও দীপিকা দু’জনই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন। রণবীর তো এতোই ডুবে গিয়েছিলেন যে, বাজিরাওয়ের ভূতও নাকি দেখতেন দৃশ্যধারণের সময়! এমন একজন যোদ্ধার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন তিনি। আর তার জন্মই হয়েছে নাকি এজন্য! অষ্টম ছবিতে এসে তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।
সঞ্জয়লীলা বানসালির ছবিটি নির্মাণ করতে চলে গেছে অনেকটা সময়। এই সময়ে কমপক্ষে তিনটি ছবিতে নাকি কাজ করা সম্ভব। তাই ‘বাজিরাও মাস্তানি’কে বিশাল জুয়া হিসেবেই নিয়েছেন রণবীর। এতে বিশাল ঝুঁকিও আছে। ৩০ বছর বয়সী এই তারকা বলেছেন, ‘ছবিটা হাতে নেওয়ার পর শুভাকাঙ্ক্ষিরা জানতে চেয়েছিলেন, আমি বুঝেশুনে কাজটা করছি কি-না। তবে ট্রেলার বের হওয়ার পর তারা বুঝেছেন, আমি এ ছবি কেনো হাতে নিয়েছি। ’
আলোচনা যেমন হচ্ছে চারপাশে, তেমনি বাজিরাও চরিত্রে রণবীরকে নেওয়ায় সমালোচিতও হচ্ছেন বানসালি। তার চেহারা নাকি বাস্তবের বাজিরাওয়ের মতো অতো সুন্দর নয়! এ কারণে গোড়াতেই গলদ দেখছেন তার উত্তরাধিকাররা। তারা আদালত পর্যন্ত গেছেন। তবে রণবীর-দীপিকা সাফ জানিয়েছেন, কারও অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্য তাদের নেই। বাজিরাও ও মাস্তানি সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই এ ছবি তৈরির মূল লক্ষ্য। তাই ছবিটি মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত সবারই অপেক্ষা করা উচিত বলে মন্তব্য দীপিকার। ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে, তারা দর্শক মাতাবেন। তলোয়ার যুদ্ধে দীপিকার নৈপুণ্য দেখে তো অ্যাকশন ডিরেক্টর স্যাম কৌশল চমকে গেছেন! এবার দর্শকদের মুগ্ধ হওয়ার পালা!
সঞ্জয়লীলা বানসালির আগের ছবি ‘গোলিও কা রাসলীলা রাম-লীলা’য় নাম ভূমিকায় ছিলেন রণবীর সিং-দীপিকা। তাদের ওই জাদুময় রসায়নের পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। ‘বাজিরাও মাস্তানি’ হিট হবে কি হবে না তা বোঝা যাবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর মুক্তির পর। ‘তামাশা’র সাফল্যের পর এবার দেখা যাক, বাজিরাওকে নিয়ে বক্স অফিসে মাস্তানি দেখাতে পারেন কি-না দীপিকা!
বাংলাদেশ সময় : ০১৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
জেএইচ