নৌকায় যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন না, তারা ভালোই বোঝেন এতে ওঠা কতোটা কঠিন! মডেল-অভিনেতা নোবেল ও মডেল-অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ হাড়ে হাড়ে টের পেলেন সেটা।
‘সবুজের আলতো পথে’ নামের একটি নাটকের প্রয়োজনে নৌকায় চড়তে হলো নোবেল-মৌ জুটিকে।
নোবেল আগে নৌকায় উঠে বললেন, ‘তুমি কিন্তু আমাকে ধরে আসতে পারো। ’ এই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না মৌ। কিন্তু তাকে সহায়তার পর দু’পা এগোতেই নৌকার পাটাতনের ফাঁক গলে নোবেলের পা গেলো আটকে। পড়তে পড়তে কোনোরকম বেঁচে গেলেন তিনি। ভাগ্যিস ইউনিটের লোকজন নৌকার দু’পাশে ছিলেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন পূর্বাচলের শেষদিকে রয়েছে পূর্বতলনা গ্রাম। সেই গ্রাম দিয়ে বয়ে চলেছে বালু নদী। এর একেবারে শেষ প্রান্তে আছে ভালোভালি নামের একটি গ্রাম।
গল্পের প্রয়োজনে দরকার ছিলো নদীর ধার ঘেষে হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য। তাই সেখানে যেতে বালু ব্রিজ থেকে ভাড়া করা হলো নৌকা। খুশি হয়ে নোবেলকে মৌ বললেন, ‘চলো নোবেল। তাড়াতাড়ি করে ড্রেসটা চেঞ্জ করো। ’ মৌ মুহূর্তেই পরে নিলেন কুসুম রঙের একটি শাড়ি। আর নোবেল পরলেন আকাশি রঙা পাঞ্জাবি। এরপর নৌকায় উঠতে গিয়ে তারা হিমশিম খেলেন।
দুপুরের প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে অভিনয়শিল্পীসহ ইউনিটের সবাইকে নিয়ে রওনা দিলেন পরিচালক কৌশিক শংকর দাশ। যতোদূর ভাবা হয়েছিলো ভালোভালি গ্রামটি ততোটা নয়। নৌকা থেকে নেমেই পরিচালকসহ সবাই ফ্রেম ঠিক করছিলেন।
গ্রামটিতে নাটকের দুটি দৃশ্যের কাজ হয়েছে। এরপর আবার বাণীচিত্র শুটিংবাড়িতে গেছেন সবাই। সকাল থেকে এখানেই নাটকটির দৃশ্যায়ন চলছিলো। ফিরতি পথে ‘সবুজের আলতো পথে’ প্রসঙ্গে পরিচালক কৌশিক শংকর দাশ বাংলানিউজকে বলছিলেন, ‘নাটকটিতে সবুজ রঙকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সবুজের পথ ধরে যেতে যেতে পুরনো স্মৃতি কথা মনে পড়বে নোবেল-মৌর। ’
নাটকের এই নামের আরেকটি কারণ হলো, এটি ঈদে প্রচার হবে এনটিভিতে। চ্যানেলটি রঙধনুর সাতরঙ নিয়ে আয়োজন করেছে ‘ভালোবাসার সাতরঙ’ নামের একটি চাঙ্ক। এর অংশ হিসেবে সাতজন নির্মাতা সাতটি রঙ নিয়ে নাটক নির্মাণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
টিএস/জেএইচ