ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু হচ্ছে বুধবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু হচ্ছে বুধবার

ঢাকা: ‘পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মুজিব’স বাংলাদেশ প্রচারণার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি)।

চার দিনব্যাপী (২৭-৩০ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এই ফেস্টিভ্যাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।

 জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় এ ফেস্টিভালের উদ্বোধন করার কথা আছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে মোকাম্মেল হোসেন বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৩ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজনা করা হয়েছে। র‌্যালিটি ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হবে।  

র‌্যালিটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু হয়ে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে পুনরায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হবে। র‌্যালিতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ট্যুরিস্ট-ভেসেল, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। আরও অংশ নেবেন বিভিন্ন জেলার পর্যটন পণ্য ও সেবা প্রদানকারীরা। দেশব্যাপী পর্যটনের বিভিন্ন অফারও আয়োজন থাকবে এ উৎসবে।  

বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালে ২০টি হোটেল রিসোর্ট, অঞ্চলভিত্তিক খাবারের স্টল ৭০টি, ডিস্ট্রিক্ট ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় ২৯টি জেলা, ক্রাফট স্যুভিনির ২৬টি, এয়ারলাইন্স দুইটিসহ বিনোদনপার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইড, বিদেশি দূতাবাসসহ ১৬০টির অধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এতে থাকবে বিভিন্ন দেশের খাবারসহ বাংলাদেশের অথেন্টিক ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের। দেশি-বিদেশি ইউনিক ও অথেন্টিক খাবার সম্পর্কে জানার এবং উপভোগ করার সুযোগ থাকবে উৎসবে।

দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে থাকবে জামতলার সাদেক গোল্লা, নকশি পিঠায় নরসিংদী জেলা, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, কুষ্টিয়ার কুলফি, পুরান ঢাকার হাজির বিরিয়ানি, বাকরখানি, মুক্তাগাছার মণ্ডা, চট্টগ্রামের মেজবান, খুলনার চুইঝাল, বিসমিল্লাহর কাবাব, কুমিল্লার রসমালাইসহ ৬৪টি জেলা থেকে ৭০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী ফুড স্টল। এ উৎসবে তাঁত, জামদানি তৈরির প্রক্রিয়া দেখা যাবে।  

আমাদের ঐতিহ্য মসলিন পুনরুদ্ধার হওয়ার গল্প এবং মসলিন তৈরির প্রক্রিয়া প্রদর্শন করা হবে। আমাদের সবারই মসলিন দেখার অপূর্ব সুযোগ তৈরি হবে উৎসবে।

দর্শনার্থীদের তাদের আকর্ষণীয় ট্যুর প্ল্যান তৈরি করতে এ উৎসব সহায়তা করবে।  তারা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাকীর্তি, পর্যটন সম্পদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিটি জেলার পর্যটন আকর্ষণের ছবি দেখার সুযোগ পাবেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটক ও পর্যটন কেন্দ্রের নিরাপত্তা, আবাসন, এভিয়েশন পর্যটনখাতে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা এবং পর্যটনশিল্পে নারীর অংশগ্রহণ, প্রত্ন পর্যটন, খাদ্য পর্যটন, পর্যটন ও এভিয়েশন সাংবাদিকতা, প্লাস্টিক ফ্রি সেন্টমার্টিন ইত্যাদি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। চার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে গম্ভীরা, সিলেটের আঞ্চলিক গান, গাজী কালুর পট, পথ নাটক, বাউল গান, পুথিপাঠ, কাওয়ালি এবং বিশিষ্ট শিল্পীদের গানের আয়োজন ইত্যাদি।

পর্যটন সচিব বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের জন্য আমরা প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এ ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি। এই উৎসব হবে একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে বাংলাদেশের সব পর্যটন আকর্ষণ জানার সুযোগ তৈরি হবে। বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশের সব ঐতিহ্যকে যেমন আপনার কাছে উপস্থাপন করবে তেমনি অপরূপ এই বাংলার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ানোর সব সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরবে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার গল্পে বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে সাজানো হবে এ উৎসব। যাতে ভবিষ্যতে কাউকে বলতে না হয় ‘দেখা হয়নি চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া’।

চার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফুড ফেস্টিভ্যাল, কারুশিল্প, পর্যটন সম্পদের প্রদর্শনীসহ সব আয়োজনে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

উৎসবটি আয়োজনে আইএলও, স্পেলবাউন্ড, এয়ারলাইন্স, হোটেল, রিসোর্ট, এমিউজমেন্ট পার্ক, ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সহায়তা করছে। সব ফেস্টিভ্যালের টাইটেল স্পন্সর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার, পরিচালক জামিল আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।