ঢাকা, রবিবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

অক্টোবরে পাহাড়ে ভ্রমণে না যেতে অনুরোধ প্রশাসনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৪
অক্টোবরে পাহাড়ে ভ্রমণে না যেতে অনুরোধ প্রশাসনের

পাহাড়ে চলমান পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।  

আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

 

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেলে তিন জেলার প্রশাসন থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের না যেতে  নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

এর আগে চলতি মাসের ২ অক্টোবর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনের জন্য পর্যটকদের খাগড়াছড়ি ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।  

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের না যেতে  নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাহাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং জানমালের ক্ষতি এড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা প্রশাসন এক জরুরি সভার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকদের প্রাণকেন্দ্র রাঙামাটির সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে আসছিল জেলা প্রশাসন। এবার পুরো জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হলো।  

এদিকে, ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বান্দরবান ভ্রমণ না করার জন্য অনুরোধ করেছে সে জেলার প্রশাসনও।

রোববার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা সদর, দীঘিনালা ও রাঙামাটিতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘাতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় চারজন নিহত হয়।

এরপর গত ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে (৪৯) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার জেরে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত সৃষ্টি হয়। শহরের মহাজন পাড়া, পানখাইয়াপাড়া সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
এডি/এসএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।