ঢাকা, বুধবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ জুন ২০২৪, ১১ জিলহজ ১৪৪৫

পর্যটন

পাটা সম্মেলন

কক্সবাজার ট্যুরিজমের বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পাবে

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
কক্সবাজার ট্যুরিজমের বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পাবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পর্যটন নিয়ে কাজ করা সংগঠন প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বার্ষিক সম্মেলনের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ‘এই সম্মেলন কক্সবাজারকে ডেসটিনেশন অব ট্যুরিজমের বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে দেবে।’

কক্সবাজার থেকে ফিরে: পর্যটন নিয়ে কাজ করা সংগঠন প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) বার্ষিক সম্মেলনের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ‘এই সম্মেলন কক্সবাজারকে ডেসটিনেশন অব ট্যুরিজমের বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে দেবে। ’

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ সি-পার্ল রিসোর্ট এন্ড স্পাতে পাটা নিউ ট্যুরিজম ফ্রন্টিয়ার  ফোরাম-২০১৬Ô এর শেষে বাংলানিউজকে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।


পাটা সম্মেলনের সফলতা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এই প্রোগ্রামের সফলতা সম্পর্কে আমার অভিমত-এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করলো আন্তর্জাতিক কনফারেন্স করার দক্ষতা ও যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা যেমন শিখছি, তেমনি আমাদের সুনাম বিশ্ব দরবারে বিস্তৃত হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও জানান, এবারের পাটা সম্মেলনে ১০০ জন পার্টিসিপেন্ট রেজিস্ট্রেশন করেছে। এটাও আমাদের একটা সফলতা। সম্মেলনকে থেকে দেশি-বিদেশি নীতি নির্ধারকরা যেসব প্রস্তাবনা দেবে সেগুলো নিয়ে ‌আমাদের কাজ করা সহজ হবে।

পর্যটকদের আগমন সম্পর্কে বলেন, এ বছরের প্রথম দিক দিয়ে আমাদের খারাপ সময় গেছে। শুরুর দিকে রাজনৈতিক কিছু ঝামেলা এরপর জুলাইতে হলি আর্টিজানের ঘটনা কিছুটা খারাপ পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আস্তে আস্তে সেটা কাটিয়ে উঠছে। তবে আমাদের অভ্যন্তরীণ ট্যুরিস্টের অভাব নেই। সিজনে কক্সবাজারে এক দিনে ৩ লাখের ওপর ট্যুরিস্ট অবস্থান করে। তাদের জায়গা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকে না। অনেককে রাস্তায় থাকতে হয়।

পাটা সম্মেলনে বিদেশি ডেলিগেটসদের কাছ থেকে কিছু পরামর্শ আসছে। সেগুলো ধরে আমরা দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করতে পারবো। বিশেষ করে আমাদের হোটেল-মোটেলগুলোর মান আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে হোটেল শৈবালকে নতুনরূপে সাজাতে কাজ করছি। টেন্ডার হয়ে গেছে। শৈবালে ভিলেজ পার্ক করা হবে। বাচ্চাদের জন্য রাইড থাকবে। হোটেলের সেবা পাঁচ তারকা মানের করা হবে। এছাড়া অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ব্যবস্থা থাকবে।
 
কক্সবাজার এলাকায় অপরিকল্পিত হোটেল-মোটেল সম্পর্কে বলেন, বিএনপি সরকারের ‍‌আমলে হোটেল-মোটেল জোনের নামে দেদারছে প্লট দিয়েছে। সেভাবেই হোটেল গড়ে উঠেছে। এখন আমাদের তেমন কিছু করার নেই। তবে যাদের পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই তাদেরকে চাপ দেওয়া হচ্ছে ইটিপি করার জন্য। না করলে থাকতে পারবে না। যদিও এগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে প্রচুর রিস্ক নিতে হবে। প্রয়োজনে নেব, কেন না তা না হলে তো আমাদের পর্যটন খাত আরও পিছিয়ে পড়বে।
 
কক্সবাজারে ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (এনএইচটিটিআই) করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেহেতু এখানে অনেকগুলো হোটেল ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে উঠেছে। তাই এখানে একটি এনএইচটিটিআই করা হবে।

বিদেশি ট্যুরিস্টদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। আর ভিসা নিয়ে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলা হবে জানান মন্ত্রী। এক্ষেত্রে কোন দেশ যদি অন এরাইভাল ভিসা দেয়, আমরাও অন এরাইভাল ভিসা দেব। আবার কোন দেশ যদি মাল্টিপল ভিসা দেয় আমরাও চেষ্টা করবো মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার।

মন্ত্রীর আশা ২০১৭ সালের শেষ দিকে বা ২০১৮ সালের প্রথম দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হলে বিদেশি ট্যুরিস্ট আরও বাড়বে। তবে পর্যটন সেক্টরের সফলতার জন্য গণমাধ্যমকে ইতিবাচক খবর তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
এসএম/আরআই/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।