বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে তিন দিনব্যাপী ট্যুরিজম ফেস্টের উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে যা যা করা প্রয়োজন, তা নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করছে এবং এ খাতে দ্রুত আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, পর্যটন খাতে বাংলাদেশ অসীম সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আমাদের রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতি সৌন্দর্য, হাজার বছরের প্রাচীন পুরাকৃর্তি, বিশ্ব ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার ইত্যাদি। পর্যটনে ডিজিটাল প্লাটফর্মের ব্যবহারে অন্যতম গন্তব্য হবে বাংলাদেশ। পর্যটন এখন শুধু দেশ আর জাতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সময়ের পরিবর্তিত চাহিদা অনুসারে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। ’
পর্যটন শিল্পকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এবছর ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে তথ্যপ্রযুক্তি’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) সহায়তায় এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে ২৭-২৯ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী ট্যুরিজম ফেস্টের আয়োজন করা হয়েছে।
এ আয়োজনে থাকছে পর্যটন মেলা, বাউল উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, বেইজ ক্যাম্পের প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন আয়োজন।
দক্ষিণ এশিয়ায় পর্যটন শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। পর্যটন শিল্পের টেকসই ও দায়িত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বেশ কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জাতীয় শিল্পনীতি-২০১০ এ পর্যটন শিল্পকে অগ্রাধিকার মূলক খাত হিসেবে চিহ্নিতকরণ, জাতীয় পর্যটন নীতিমালা-২০১০ প্রণয়ন, জাতীয় পর্যটন সংস্থা হিসেবে বিটিবি'র প্রতিষ্ঠা, পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণোয়নের উদ্যোগ গ্রহণ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর উন্নয়ন, পর্যটন আকর্ষণ অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবহন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, মেরিন ড্রাইভের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বের ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/এসএইচ