ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

মেরিন ড্রাইভে চালু হচ্ছে দেশের ১ম ‘ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
মেরিন ড্রাইভে চালু হচ্ছে দেশের ১ম ‘ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’

কক্সবাজার: একপাশে পাহাড়, অন্যপাশে সমুদ্র। সেই অপার সুন্দরের মাঝ দিয়েই চলে গেছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। ৮০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি যেন পুরোটাই এক আশ্চর্য সুন্দরের হাতছানি। এবার সেই সৌন্দর্য উপভোগে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি নতুন পালক।

‘অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভ্যান’ নামে নতুন বাস চলবে এ সড়ক দিয়ে, যা দেশের কোনো পর্যটক স্পটে প্রথম। প্রতিদিন সকাল ৯টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে ছেড়ে যাবে ছোট একটি বাস।

পরে রেজুখাল গিয়ে ছাড়বে ক্যারাভ্যান। টেকনাফ জিরোলাইন ঘুরে আবার কক্সবাজার ফিরবে সন্ধ্যায়।  

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ বাস চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন।

১০ বন্ধুর উদ্যোগে চালু হচ্ছে এ বিশেষ ছাদখোলা দোতলা বাস। অ্যাকোয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভানের ব্যবস্থপনা পরিচালক তানবীর আহমেদ জানান, বুধবার ইনানীর রেজু খাল এলাকা থেকে বেলা ১১টার দিকে উদ্বোধন করা হবে।

তিনি জানান, বর্তমানে বাস একটি। আসন সংখ্যা উপরে ৩৬টি, নিচে ১২টি। প্রতিদিন রেজুখাল ব্রিজ এলাকা থেকে ছাড়বে। ছোট বাসে করে কলাতলী মোড় থেকে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে ওই এলাকায়।

পর্যটনের প্রসারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বাস সার্ভিস চালু আছে। এ বাসের বিশেষত্ব হচ্ছে ছাদ খোলা। পর্যটকেরা বিনোদনের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে। আর মেরিন ড্রাইভ হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে। এই সড়কটির দু’পাশের  সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের প্রসারের জন্য মূলত এ উদ্যোগ। বলেন ব্যবস্থপনা পরিচালক তানবীর।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বাসে করে কলাতলী থেকে টেকনাফ ভ্রমণের ভাড়া ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার টাকা। বাসে মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণের পাশাপাশি থাকবে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের স্ন্যাক্স। বাসের ভেতরে রয়েছে লাইব্রেরি। যেখানে ভ্রমণকারীদের জন্য থাকছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বইসহ দেশি-বিদেশি লেখকদের বই পড়ার সুযোগ। থাকবে ওয়াইফাই ও ওয়াশরুম সুবিধা।

মেরিনড্রাইভ সড়কে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালুর বিষয়টি অনেকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগরের বাসিন্দা সাংবাদিক আহমদ গিয়াস বাংলানিউজকে বলেন, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য অবলোকনের পাশাপাশি কক্সবাজার ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। মেরিন ড্রেইভে এলেই পাহাড়-সাগরের মেলবন্ধন চোখে পড়ে। ভ্রমণপিপাসু প্রত্যেকের কাছেই যেন এটি এক অন্য রকম শিহরণ।

তিনি বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিলাসবহুল বাসসার্ভিস অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আশা করছি, এ উদ্যোগ পর্যটনশিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।

তবে শুধু মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণে ২ হাজার টাকা ভাড়ার বিষয়টি বেশি দাবি করে তিনি বলেন, ভাড়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।  

কক্সবাজার শহরেরর কলাতলী মোড় থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি ২০১৭ সালের ৬ মে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। এ সড়কজুড়েই যেন এক অসাধারণ সুন্দরের হাতছানি। বঙ্গোপসাগরের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা সড়কটির অন্যপাশে রয়েছে অনেকগুলো পাহাড়। সবুজ পাহাড় আর সমুদ্রের জলরাশি দেখা মেলে এখানে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এসবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।