বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক পাহাড়, নবদিগন্ত, প্রান্তিক লেকসহ সব পর্যটন স্পটগুলোতে এবারের ঈদে পর্যটকদের আনাগোনা নেই। এদিকে পর্যটনস্পট বন্ধ থাকায় এর সঙ্গে জড়িত পর্যটকবাহী যান এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে গেল দুইমাস ধরে, এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলটনের স্বত্বাধিকারী অমল কান্তি দাশ বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে গেল ৩ মাস ব্যবসা বন্ধ রয়েছে, আর এর ফলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর ঈদের বন্ধে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটলে ও এবার চিত্রটা ব্যতিক্রম। এবারে করোনায় জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় আমাদের সবার ব্যবসা একেবারেই ক্ষতি হয়ে গেল।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলভিউয়ের জিএম সুলতান নাফিজ বাংলানিউজকে বলেন, করোনায় এবারে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বান্দরবানে পর্যটক নেই। আমাদের হোটেল বন্ধ, আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি।
চলতি বছরে করোনার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব তার ওপর ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রভাবে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায় নেমেছে এসেছে ব্যাপক ধস। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তার দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
বান্দরবানের আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এবারের সময়টা সবচেয়ে বেশি খারাপ যাচ্ছে, আমরা প্রত্যেক পর্যটন ব্যবসায়ী ব্যবসা বন্ধ করে ঘরে আছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পর্যাপ্ত প্রণোদনা দেওয়া হলে ক্ষতি কাটিয়ে আমরা পুষিয়ে নিতে পারবো।
বান্দরবান জেলায় ৬০টি হোটেল-মোটেল রয়েছে আর পর্যটকবাহী যান রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক আর এই পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এনটি