কক্সবাজার থেকে: শিরোনামটি প্রীত হওয়ার মতোই! আমরা প্রীত হয়েছিও বটে! উড়োজাহাজে ফ্রি আকাশ দেখার মওকা কে না চায়! রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৫০ মিনিটে আমাদের উড়িয়ে আনার কথা। পৌঁছেও গেলাম ঠিক সময়েই।
প্লেন তখন ১৭ হাজার ফুট থেকে নেমে এসেছে ২-৩ হাজার ফুটে। পাহাড়-বন ঘেরা সবুজ তখন হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু দেখা মিলছিলো না সাগরের। অস্থির লাগছিল। সাগরকন্যার কাছে এসে জলরাশির দেখা নেই!
মওকা চলে এলো হঠাৎই। ঘোষণা এলো ল্যান্ড করার সিগন্যাল নেই। পুরোটা সময় আমাদের ছয়জনের উৎসব আমেজ যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেলো।
উৎসব বলা হচ্ছে এ কারণে যে, রিজেন্টের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা অতি ভদ্র। তাই উড়োজাহাজটাকে মামা বাড়ির ডরমেটরি টাইপ রুম বানিয়ে ফেলার পরও কোনো অভিযোগ করলেন না। নিজেদের জন্য একটি করে নির্ধারিত আসন বরাদ্দ থাকলেও চলন্ত অবস্থায় অন্তত ১০ বার করে স্থান পরিবর্তন করেছি সবাই।
এরই মধ্যে দুম করে ফের উপরমুখো উড়াল দিলো উড়োজাহাজ। ঘোষণা এলো শহরের ওপর দিয়েই ঘুরবে। আকাশ থেকে পাখির চোখে কক্সবাজার শহর ও এর আশপাশ দেখার সুযোগ বিনা পয়সায়! আহ, কী আনন্দ তখন।
টিলা আর সবুজ বনের ফাঁকে ফাঁকে রোদ ঝলসানো টিনের বাড়ি, রয়েছে সবুজে ঢাকা অট্টালিকাও। ওপর থেকে পুরো শহরটারকে একনজর দেখাও হয়ে গেলো।
মুহূর্তে ডানে মোড় নিয়ে ঘুরে এলো সাগরজলের ওপর দিয়ে। একদিকে শরতের পেঁজা তুলো মেঘ আর নীলাকাশ, অন্যদিকে সাগরকন্যা।
এতোসব মনোরম দৃশ্য উপভোগের বাড়তি সুযোগ তৈরি হয়েছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ল্যান্ড করার গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায়। রানওয়েতে সিগন্যাল না পেয়ে পাইলট আমাদের নিয়ে আরও ১০ মিনিট আকাশে ঘুরলেন। আর সেই সুযোগেই আমরা পেলাম বাড়তি পাওনা। ও হ্যাঁ, এজন্য আমাদের কোনো পয়সা দিতে হয়নি!
আর রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের আন্তরিকতার কোনো কমতি ছিল না। তবে, আমাদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে ধরা দিয়েছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজে ১০ মিনিটের ‘ফ্রি দর্শন’!
** মহাপতঙ্গের পেটে একঘণ্টা!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৪
In Association With Regent Airways