কক্সবাজার থেকে: কলাতলী রোড থেকে ঝাউবন বিচ। মাঝের এই রাস্তায় কেউ কি হেঁটেছেন! হ্যাঁ বলবেন নিশ্চয়ই।
মিনিট দশেকের এই হাঁটাপথে সন্ধ্যায় পেয়ে যাবেন টাটকা সামুদ্রিক মাছ। না, এটা মাছের বাজার নয় মোটেই। রাস্তার দু'পাশে গরম কড়াইয়ে ভাজা হচ্ছে সেইসব সুস্বাদু মাছ। শুধু পছন্দের মাছটি বেছে দোকানিকে দিলেই পেয়ে যাবেন কড়কড়ে 'ফিশ ফ্রাই'!
কয়েক রকম কাঁকড়া আর চিংড়ি, আছে টোনা, রূপসা আর জিহ্বায় জল আনা রূপচাঁদা। আরো আছে স্যামন, কোরালসহ নাম না জানা, স্বাদ না চেখে দেখা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
দরদাম করে নেবেন অবশ্যই। কাঁকড়া পাবেন পিস প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, চিংড়ি ছোট বড় ১০ থেকে ১০০ টাকা, স্যামন (ভারত মহাসাগরীয়), রূপসা, লইট্টা, কোরাল প্রভৃতি ১শ' থেকে হাজার টাকায় পাবেন।
স্যামন ভাজার প্রক্রিয়াও দেখার মতো বিষয়! মাছটির মোটা ও শক্ত চামড়াটি ছাড়িয়ে নেওয়াই প্রধান ধকল। ছুরি দিয়ে মাথার দিকের চামড়াটা ঠিক মতো কেটে, পিঠ ও পেটের চামড়া ফেরে টানলেই উঠে আসবে চামড়াটা।
এরপর মাছটাকে কিন্তু টুকরো টুকরো করবে না দোকানি। ছুরি দিয়ে আলতোভাবে মাছটির শরীরময় ফালি ফালি করে কাটা হবে যেন তেল মশলা ভালোভাবে মেশে। তারপর ডুবো তেলে কড়া ভাজির মটমট শব্দ। হয়ে গেলো স্যামন ফ্রাই!
কড়া ভাজা মাছগুলোর ওপর যখন পড়বে চটকদার মশলার ঝাল ও ঝাঁঝ, তখন জিহবায় আসবে সুড়সুড়ি হাতে পাবেন তড়িৎ গতি!
পর্যটকদের জন্য মাছ খাওয়ার এ প্রক্রিয়া চালু হয়ে মাত্র চার পাঁচ বছর। তবে এরই মধ্যে পসার যে বেশ জমে উঠেছে তা ফুটপাতের দোকানিদের ব্যস্ততা আর রসনাবিলাসীদের ভিড় দেখলেই বোঝা যায়।
আমাদের মতো আপনিও চাইলেই নিজের সমুদ্র ভ্রমণের প্রথম দিনটিকে টাটকা মাছের কড়কড়ে স্বাদে পূর্ণ করে তুলতে পারেন।
** রিজেন্টে ফ্রি কক্সবাজার দর্শন!
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪