ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ নিয়ে আগ্রহ ভ্রমণপিপাসুদের

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪
বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ নিয়ে আগ্রহ ভ্রমণপিপাসুদের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের তিনদিনব্যাপী তৃতীয় এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারে আসা ভ্রমণপিপুসের আগ্রহের স্থানগুলোর মধ্যে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ।

মেলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবারে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সমাগম।

এ উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের স্টলেও দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। কর্পোরেশনের কর্মককর্তারা দেশিয় পর্যটনের স্থানগুলোর সঙ্গে পরিচয় করে দিচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুদের।

কীভাবে আগ্রহের পর্যটন স্থানে যেতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে পর্যটন কর্পোরেশন। ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়ার বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধে যাওয়ার গাইডও পাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়ার দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। ঢাকা, মাওয়া, ভাঙ্গা, ভাটিপাড়া ও গোপালগঞ্জ হয়ে সেখানে যাওয়া যাবে।

গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল মধুমতিতে অবস্থান করা যাবে। নদী, খাল, সবুজ বনানী পরিবেষ্টিত ঘনবসতিপূর্ণ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধুর জন্ম।

৩৮ একর জায়গার উপর ১২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলের কাজ ১৯৯৮ সালে শুরু হয়। দুই বছরে তা শেষ হয়। এর নকশার স্থপতি এহসান খান। এটি ২০০১ সালে ‘আর্কিটেক অব দ্যা ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।

সর্বমোট ২ হাজার ২২৮ বর্গমিটার সমাধি কমপ্লেক্সের মধ্যে ৩৯২ বর্গমিটারে সমাধি সৌধটি অবস্থিত। স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী জাদুঘরটি দুইভাগে বিভক্ত- কোর্ট স্পিরিচুয়াল ও পাবলিক কোর্ট।

পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য মূল কবরস্থান, বঙ্গবন্ধু ভবন যাদুঘর, প্রশাসনিক ভবন, লাউঞ্জ এবং ঝরণা কোর্ট স্পিরিচুয়ালে এবং অন্যান্য পাবলিক কোর্ট বিষয়ে মেলায় দর্শনার্থীদের ধারণা দিচ্ছে পর্যটন কর্পোরেশন।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর সভাকক্ষ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর ও ঐতিহাসিক সিঁড়িঘর (যেখানে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল) সহ সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোর ধারণা দেওয়া হচ্ছে। তবে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ নিয়ে মেলায় দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি বলে জানান
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (এনএইচটিটিআই)  অ্যাসিসটেন্ট ট্রেইনিং অফিসার ইমরুল হাসান।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, আমরা দেশিয় পর্যটন স্থানগুলোর ধারণা দিচ্ছি। তবে এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ অনেক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শাহাদাত বার্ষিকীতে ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ আরো বেশি থাকে।

বৃহস্পতিবার তিনদিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন (বিপিসি) এ মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে।

মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- এয়ারলাইন্স, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল শপ, থিমপার্ক।

এই মেলার মাধ্যমে পর্যটনশিল্পের একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। শুক্র ও শনিবার মেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

এ বছর ১২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে থাকছে থিমপার্ক, ফ্যান্টাসি কিংডমে প্রবেশের ৫০ ভাগ ডিসকাউন্ট। শিক্ষার্থীদের জন্য মেলায় প্রবেশ ফ্রি।

শনিবার রাত ৮টায় মেলার পর্দা নামবে। মেলায় দেশিয় পর্যটন স্থানগুলোর প্রতি ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহও অনেক।

বিশেষ করে সুন্দরবন, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, বান্দরবান, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, জামতলা টাইগার পয়েন্ট, বাদামতলী সমুদ্র সৈকত, নীলগীরি, নীলাচল, রাঙামাটি, ইনানী সমুদ্র সৈকত ও হিমছড়ির মতো জায়গাগুলোর প্রতি ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহ রয়েছে।

** ৩ দিনের মালয়েশিয়া ট্রিপ মাত্র ৪২ হাজারে!
** পর্যটনে ২০ শতাংশ ছাড়
** ৩২৫ টাকায় ফ্যান্টাসি কিংডমে সারাদিন
** সিগালে ছাড় ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকা




বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।