ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

রোমাঞ্চকর চিতাওয়ান বন- পর্ব এক

তাসনুভা রাইসা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
রোমাঞ্চকর চিতাওয়ান বন- পর্ব এক

‘জঙ্গল’ শুনলেই জিম করবেটের বইয়ের জঙ্গলের বাঘিনীর কলজে কাঁপানো চিৎকার কানে আসে, আর রুডিইয়ার্ড কিপলিংয়ের মোগলির চিরশত্রু জঙ্গলের ‘শের খান’র কথা মনে হয়।

দেশের বাইরে জঙ্গলে ঘোরার সুযোগটা আচমকাই এসে গেল।

নেপালের চিতাওয়ানের জঙ্গল সফরের নেপথ্য ছিল ভিন্ন, কিন্তু তখনো জানতাম না যে কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য!

আমাদের দুই বোনের এই নেপাল সফরের সময়সূচি ছিল ৪ রাত ৫ দিন, কাঠমান্ডু, পোখারা আর নাগরকোট ছিল আমাদের ভ্রমণ তালিকায়।

কিন্তু ট্যুরের জন্য অফিসে ছুটি চাইতে গেলে বস বললেন, নেপাল যখন যাচ্ছেনই চিতাওয়ানটাও ঘুরে আসেন।

অফিসে ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য প্রোমোশনাল প্রোগ্রাম হিসেবে বিদেশ ভ্রমণ থাকে, সেখানে নতুন কোনো আইডিয়ার জন্য চিতাওয়ান ঘুরে ফিরে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ই ছিল মুখ্য।

চিতাওয়ান নিয়ে আমার কোনো প্রবলেম ছিল না, কিন্তু আমার বোনের প্রতিক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম, কারণ কাঠমান্ডু, নাগর কোট, পোখারা ছিল প্রকৃতি ও হেরিটেজসমৃদ্ধ আর চিতাওয়ান সফর মানে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়ানো, কুমির আর গণ্ডার দেখা গেলেই বলা হয় ট্যুর সাকসেসফুল! আর আমার বোন ছোটবেলা থেকেই ভয় পায় এসব। কাজেই ওকে কিছু বলিনি, ঠিক করলাম  ওকে  বলব চিতাওয়ান আসলে গাজীপুর ন্যাশনাল পার্কের মতোই একটা জায়গা যেখানে আমরা রিসোর্টে থাকব আর পাখি দেখবো!
T_photo_1
পোখারা থাকতেই আভাস দিয়েছিলাম ওকে যে আমাদের ব্যাক্তিগত ট্যুর শেষ, এখন যেখানে যাচ্ছি সেটা অফিসিয়াল এসাইনমেন্ট। তাই  আমাকে ক্যানুতে চড়ে রাপ্তি নদীতে কুমিড়ের রোদ পোহানো দেখতে হবে হয় হাতির পিঠে চড়ে বনে ঘুরতে হবে (এলিফেন্ট ব্যাক সাফারি) নয়তো জিপ সাফারি মানে খোলা জিপে করে জঙ্গলে ঘুরতে হবে। সবকিছু শুনে বোন বলল, সে রিসোর্টে ঘুমিয়ে থাকবে, জঙ্গল সাফারিতে যাবে না।

পোখারা থেকে চিতাওয়ানের দিকে যতই যাচ্ছি ততই প্রকৃতি দেখে  মুগ্ধ হচ্ছি, পাহড়ি রাস্তা, রাস্তার কোলঘেঁষে উঁচু পাহাড়, খরস্রোতা নদী। কী স্বচ্ছ নীল পানি! চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে।

কাঠমান্ডু থেকে সড়কপথে চিতাওয়ান গেলে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা লেগে যায়, কিন্তু পোখারা থেকে ৩ ঘণ্টার পথ। ফেব্রুয়ারি মাস, তাই প্রকৃতির রুক্ষতা ধরা পড়ছে। পাহাড়গুলো দেখলেই বোঝা যায় বর্ষাকালে এর গা বেয়ে পানির ধারা প্রবাহিত হয়।

আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে খানিকটা সমতল ভূমির দিকে যখন আমাদের ফিয়াট গাড়ি ঢুকতে লাগলো, আমি বুঝলাম যে চিতাওয়ান ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি চলে এসেছি। স্থানটির নাম সাহাওরা, গ্রামীণ পরিবেশ, মেয়েরা সাইকেল চালিয়ে যাওয়া আসা করছে, দু’পাশে ক্ষেত। প্রবেশ মুখে রাইনো মানে গণ্ডারের ভাস্কর্য দেখে আমার বোনের চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে গেলো।

আমাকে প্রায় কান্না জড়ানো কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, রাইসা, চিতাওয়ানে  রাইনো আছে? আমি বললাম আছে, কিন্তু দেখা যায় না, দেখা যাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার।
T_photo_2
 ‘চিতাওয়ান’ শব্দের মানে হলো  ‘হার্ট অব জঙ্গল’ অর্থাৎ জঙ্গলের কেন্দ্রবিন্দু । নেপালের চিতাওয়ান জেলাকে ঘিরে আছে চিতাওয়ানের ঘন বন যা ১৯৮৪ সালে  ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ‘চিতাওয়ান জাতীয় উদ্যান’ নামে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটাই নেপালের প্রথম ন্যাশনাল পার্ক।

১৯ শতকের শেষ দিকে ভিনদেশি ও নেপালের অভিজাত ধনিক শ্রেণির শিকারের প্রিয় স্থান ছিল এই এই জঙ্গল। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ রাজা পঞ্চম জর্জ এবং তার পুত্র কনিষ্ঠ এডওয়ার্ড তাদের এক সফরেই ৩৯টা রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং ১৮টা গণ্ডার শিকার করে এক রক্তাক্ত ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এক সময় বিদেশি বাবুরা রয়েল বেঙ্গল টাইগার শিকারকে বীরত্বের প্রতীক মনে করতেন। শিকারের ফলে জঙ্গলে বাঘ ও গণ্ডারের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করল। কিন্তু  রাজা মাহেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ্ শিকারকে প্রশ্রয় না দিয়ে এই স্থানকে রাজকীয় সংরক্ষিত স্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। রাজার উদ্যোগের কারণেই চিতাওয়ানের জঙ্গল বন্যপ্রাণী ও পাখিদের জন্য আজ এক অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। আর ‘জাঙ্গল লাইফ’ যার ভালবাসেন সেই সব পর্যটকদের জন্য  খুব জনপ্রিয় স্থান এই চিতাওয়ানের বন।

আমাদের ট্যুর অপারেটর আমাদের জন্য ব্যবস্থা করেছিল, চিতাওয়ান অ্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট-যেটা শহরের অন্যান্য রিসোর্টের চাইতে  একটু নিরিবিলি পরিবেশে অবস্থিত। চিতাওয়ান অ্যাডভেঞ্চার রিসোর্টে আমরা পৌঁছালাম স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে।

রিসোর্টে ঢুকেই মন ভালো হয়ে গেল। ডুপ্লেক্স টাইপ রিসোর্ট, লোহার সিঁড়ি দুই পাশ দিয়ে নেমে গেছে, দোতলার রুমে আমরা উঠলাম। গরম পানির ব্যবস্থা, জেনারেটর সবই আছে। প্রতিটা পর্যটন স্পট ঘুরে বুঝলাম নেপাল খুবই  ‘ট্যুরিস্ট বান্ধব’ একটা দেশ। পর্যটকদের বরণ করে নেওয়ার জন্য সব সময়ই হাসিমুখে প্রস্তুত।
T_photo_3
এখানকার গাইড ব্রাহ্ম দা আমাদের দুপুরের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে নিতে বললেন, আমাদেরও বেশ ক্ষুধা লেগেছিল, তাই আমরা হাত মুখ ধুয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে চলে আসলাম। বড্ড ছিমছাম, নিরিবিলি চিতাওয়ান। দুপুরের মেনুতে ছিল সাদা ভাত, রুটি, ফ্রাইড ভেজিটেবলস, চিকেন কারী, ডাল, আচার এবং সালাদ। রান্না ভালো ছিলো, খাবারও ফ্রেশ।

খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা ঠিক করলাম বিকেল ৪টার দিকে ‘বার্ড ওয়াচিং’ এবং তারপর  ৭টায় ‘থারু স্টিক ড্যান্স’ প্রোগ্রামে যাব।
 
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমি, আমার বোন ও আমাদের গাইড ব্রাহ্ম দা পাখি দেখতে বের হলাম, চিতাওয়ান রিসোর্টের পাশে থারু গ্রামের ভিতর দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। বেশিরভাগ থারুবাসীর বাড়ির দেয়ালে  অনেকগুলো রঙ্গিন হাতের ছাপ। ব্রাহ্ম দা বললেন, চিতাওয়ানের গ্রামবাসীরা এভাবেই দিওয়ালি উদযাপন করে।

একটা বাড়িতে দেখলাম হাতি বাঁধা- উপরে ছাউনি দেওয়া। এটি প্রাইভেট হাতি, এখানে নাকি প্রাইভেট হাতির সংখ্যা প্রায় ৭০টি, যা এখানে আসা ট্যুরিস্টদের চড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। ব্রাহ্ম দা আরো বলতে লাগলেন কিভাবে  চিতাওয়ান বনের কাছাকাছি গ্রামের সৃষ্টি হলো, বন্য পশুদের আক্রমণ মোকাবেলা করার জন্য সংঘবদ্ধভাবে বসবাস শুরু করে। সে থেকে এভাবে জনবসতি গড়ে উঠে গ্রামের সূচনা করে। ব্রাম্ম দার চেহারা ও দৈহিক গড়নে থারু আদিবাসীদের সাদৃশ্য রয়েছে। ছোটখাট দারুণ হাসিখুশি মানুষ।

গলায় দূরবীন ঝোলানো প্রাণখোলা এই মানুষটির হাতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ছবি ও বর্ণনা সম্বলিত একটা বইও দেখতে পেলাম।

হাঁটতে হাঁটতে আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে যে ধরনের পাটকাঠির ব্যবহার করা হয়, এখানেও সেধরনের কিছু দেখলাম, ব্রাহ্ম দা জানালো যে ওগুলো এলিফ্যান্ট গ্রাস, শুকিয়ে এরকম খটখটে হয়ে গেছে। পাখি দেখার জন্য রাপ্তি নদীর তীরে যেতে হবে। ওই পথ ধরেই এগুতে এগুতে চোখে পড়ল গাঁজা পাতা, এত সুন্দর সবুজ গাঁজা পাতার ঝোঁপ, তাড়াতাড়ি ক্যামেরা বের করে ছবি তুললাম। গ্রামীণ সমতলভূমির চিতাওয়ানের রাস্তাঘাট দেখে বাংলাদেশেরই গ্রামের কথা মনে পড়ল।
T_photo_4
ব্রাহ্ম দাদাকে বললাম, কই দাদা পাখি কোথায়? ব্রাহ্ম দাদা পাখি বুঝলো না, আমি বললাম পাঞ্চি (হিন্দী), উনি পাখিকে ‘চিড়িয়া’ বললেন, আরো বললেন চিড়িয়া আমাদের সামনে ঘুড়ে বেড়াবে না, ওদের খুঁজে নিতে হয়, আমরা তাই তার দূরবীনটা চোখে নিয়ে দেখতে পেলাম একটু দূরে উঁচু গাছে অনেকগুলো পাখি দেখলাম যার মধ্যে ময়না/শালিক জাতীয় অন্যতম। তারপর দূরবীন ঘুরিয়ে রাপ্তি নদীর পানিতে সাঁতার কাটছে হলুদ রঙের জোঁড়া ব্রাহ্মী হেরন। ব্রাহ্মী হেরন নাকি একা থাকে না, সবসময় জোড়া বেঁধে থাকে। রাপ্তি নদীর ধারে কুমিড় দেখতে পেলাম ঘুমন্ত অবস্থায়। পাখি দেখার অভিযানে হেঁটে গেলেও ফেরার সময় চিতাওয়ান অ্যাডভেঞ্চার রিসোর্ট এর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। রাপ্তি নদীর ধারে সূর্য ডোবা উপভোগ করছে অনেক বিদেশি পর্যটক, বারবিকিউ চলছে, সাথে ওয়াইন। পুরোটাই উপভোগ্য।  

এর মাঝে আমরা পানিপুড়ি খেয়ে নিলাম , কিন্তু আমি খুব হতাশ হলাম খেয়ে কারণ এর চেয়ে আমাদের ফুচকা ঢের মজা।

রিসোর্টে ফিরে ঠিক করলাম, আজ সন্ধ্যাতেই ‘থারু ড্যান্স শো’ দেখতে যাব। থারু গ্রামবাসীর যে অনন্য সংস্কৃতি, তারা কিভাবে গান ও নাচ পরিবেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে সেটার জন্য এই শো দেখার প্রতি আমার আগ্রহ। চাইনিজ নিউ ইয়ারের কারণে প্রচুর চাইনিজ ট্যুরিস্ট জড়ো হয়েছে এখানে। ব্রাহ্ম দাদা বললেন সন্ধ্যা ৭টায় শো শুরু হলেও, প্রায় ১ ঘণ্টা আগে যেতে হবে, নইলে সিট পাওয়া যায় না।

আমার বোন যাবে না, রেস্ট নেবে। কিন্ত‍ু আমি নাছোড়বান্দা, যাবই। রিসোর্টের একটা গ্রুপের সাথে চড়ে বসলাম গাড়িতে এবং কমিউনিটি হলে পৌঁছে দেখলাম লোকে লোকারণ্য, অর্ধেকেরও বেশি সিট দখল হয়ে গেছে, কিছু নেপালি এবং বাদ বাকি সব চাইনিজ বা কোরিয়ান এবং কিছু সংখ্যক ইউরোপিয়ান। হলের অবস্থা খুব বেশি ভালো না, বসার বেঞ্চিগুলো খুব সাধারণ, আর হলের ভিতরের পরিসজ্জাও যেমন তেমন, কিন্তু  এখানে কেউ হলের অবস্থা যাচাই করতে আসে না, সবাই আসে অনুষ্ঠান দেখতে।
T_photo_5
১ ঘণ্টার এই সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের অনেকগুলো পরিবেশনার মাঝে অন্যতম ছিল ‘থারু স্টিক ড্যান্স ও কেজি পিকক ড্যান্স’। তাদের পরিবেশনা দেখে মনে হলো এই থারু জনগণ দীর্ঘদিন ধরে তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অতি যতনে ধারণ করে আসছে, যেখানে হিন্দী অপসংস্কৃতির ছায়া একেবারেই পড়েনি।

শরীর বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলো, জার্নি তো কম করছি না। রিসোর্টে ফিরে বোনকে ডেকে রাতে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম উত্তেজনা নিয়ে। কারণ আগামী কাল ‘ক্যানু তে চড়ে কুমির দেখা’ পর্ব। এসব বিষয় শুধুমাত্র কিশোরী বয়সে তিন গোয়েন্দা সিরিজে পড়েছি। কিশোর, মুসা, রবিন ক্যানুতে চড়ে আমাজনের ভীষণ অরণ্য পাড়ি দিচ্ছে আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বা হলিউড এর মুভিতে দেখা।

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।  

প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন-



বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।