ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

এশিয়ার বৃহত্তম র‍ামু আইসোলেটেড নারকেল বাগান

অর্পন বড়–য়া, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪
এশিয়ার বৃহত্তম র‍ামু আইসোলেটেড নারকেল বাগান ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রামু (কক্সবাজার): সড়কের দুই পাশে সারি সারি নারকেল গাছ। সবুজে ঘেরা মনোরম বাগানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছে ঝুলছে নারকেল ও ডাবের থোকা।



বলা হচ্ছে দেশের অন্যতম পর্যটন উপ-শহর কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম রামু আইসোলেটেড নারকেল বীজ বাগানের কথা।

সারি সারি নারকেল গাছ, চারধার সবুজ। প্রকৃতিপ্রেমী মাত্রই এই নৈসর্গ্য দেখে বিমোহিত হবেন, তা হলফ করেই বলা যায়।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ভ্রমণের পাশাপাশি ঘুরে আসতে পারেন এ নারকেলের দেশে। এশিয়ার বৃহৎ এ বাগানে সারাবছরই থাকে নারকেল ও ডাবের সরব উপস্থিতি।

এ নারকেল বাগানের পাশাপাশি রামুর বেশকিছু প্রাচীন স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থান পরির্দশন করে মারতে পারেন এক ঢিলে দুই পাখি।

মনোরম এ নারকেল বাগানের ইতিবাস ঘেঁটে ও বাগানের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৮২ সালে উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নে ১৯৬ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয় আইসোলেটেড নারকেল বাগান। প্রতিবছর এ বাগান থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার পিস নারকেল উৎপাদন করা হয়।

এর পাশাপাশি বাগানে শাখা কলম দ্বারা বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ওষুধি গাছের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব নারকেল ও উৎপাদিত চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে সরকার।  

এ নারকেল বাগানটি দিন দিন ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়ত এখানে বেড়াতে আসছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থী।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিনোদনমূলক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ যোগাতে পারে এ নারকেল বাগান। এটিকে মানসম্মত পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হলে এখান থেকেও কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার।

বাগানের নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে জানান, এখানে বিভিন্ন ফলদ মাতৃগাছের বাগান সৃষ্টি করা হচ্ছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য থাইপেয়ারা, আনারস, কমলা, ড্রাগন, লিচু এবং উন্নত জাতের নারকেল চারা।

রামু আইসোলেটেড নারকেল বীজ বাগানের উদ্যান তত্ত্ববিদ এবিএম শাহ ইমরান বাংলানিউজকে জানান, ১৯৮২-৮৩ ‍সালে এফইউএনডিপি’র সহায়তায় সরকার এ বাগান গড়ে তোলে। প্রকল্প শেষ হওয়ার পর পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যহাতি, শুকর, সজারুর আক্রমণ ও পরিচর্চার অভাবে ১৪ হাজার নারকেল গাছের মধ্যে মাত্র ৩ হাজার নারিকেল গাছ অবশিষ্ট ছিল।

তিনি আরো জানান, ২০১০-১১ সালে সমন্বিত ও মান-সম্পন্ন উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে এ বাগানের ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ফলে প্রতিদিন দর্শনার্থীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে পর্যটন সম্ভাবনাময় এ বাগান।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।