তখন বেলা সাড়ে ১১টা। পশ্চিমে আন্ধার মানিক মোহনায় লেবুর চরে খানিক পর পর গর্ত।
লাল কাঁকড়ার খোঁজ জানতে চাইলে জেলে আলম জানালেন, দুপুর বা বিকেলে দেখা যাবে। রোদ উঠলে গর্ত থেকে বের হয় এ কাঁকড়া। তবে ঠাণ্ডায় বের হয় না।
আরও সামনে গেল মোটরসাইকেল। চালক বললেন, আরও সামনে মিলতে পারে লাল কাঁকড়া। খানিকটা এগিয়ে যেতেই চালক রুহুল আমিন ফরাজী বললেন, ওই যে দেখা যাচ্ছে, দৌঁড়াচ্ছে।
এবার বোঝা গেল লাল কাঁকড়ার উপস্থিতি। দূরে লাল কাঁকড়া দৌঁড়াচ্ছে। কিন্তু শব্দ পেয়ে গর্তের মুখে চলে গেছে কাঁকড়ার দল। ততোক্ষণে সহকর্মীর ক্যামেরায় বন্দি হলো কয়েকটি কাঁকড়া।
লাল কাঁকড়ার বৈশিষ্ট্য এরা রোদে বের হয়, শব্দ পেলে ছুটে পালায় নিরাপদে, ঢুকে পড়ে সৈকতের বালিতে নিজেদের তৈরি করা ঘরে (গর্তে)। আর সৈকতে গর্ত করে থাকা এদের পছন্দ।
আর যখন নিরাপদ আশ্রয় পায় না তখন পা গুটিয়ে বসে যায়। এভাবে কয়েকটি ছবিতে দেখা গেল তীক্ষ্ণ নখের ওপর ভর করে চলে এরা। আর চলার সময় উঁচিয়ে থাকে দু’টি শিং।
কুয়াকাটায় এসে চিকচিকে সাদা বালির ওপর আট পা দিয়ে কাঁকড়ার দৌঁড় উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দর্শনার্থীর অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হয়েছে এ কাঁকড়া। মেগা বিচ কার্নিভাল’এ আসা দর্শনার্থীরা কাঁকড়ার খোঁজে ছুটছেন কাউয়ার চর ও লেবুর চরে।
দৌঁড় দিয়ে পালানোর সময় কাঁকড়ার ঝাঁক দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করে। তাই কাঁকড়ার পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে দৌঁড়ায় পর্যটকরা। অনেক সময় মারা পড়ে মোটরসাইকেলের চাকায়। কেউ কেউ ধরেও ফেলেন।
স্থানীয়রা জানালেন, এভাবে দেখতে গিয়ে দৌঁড়ানোর কারণে এখন দিন দিন কমে যাচ্ছে লাল কাঁকড়া। আগে ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা গেলেও এখন কমে আসছে এ লাল কাঁকড়ার সংখ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমআইএইচ/আরআইএস/ওএইচ/এসএইচ