বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বনানীর নরডিক হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দি প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুসা ইব্রাহীম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আয়োজনের স্পন্সর নীলসাগর গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আরমান হাবিব, অর্থ পরিচালক মাহবুব আলম মানিক, ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক ওয়াজেদ ফিরোজ ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের সহকারী অধ্যাপক নিয়াজ পাটওয়ারি এবং নেপালের জিরেল সম্প্রদায়ের প্রথম এভারেস্ট জয়ী লাল বাহাদুর জিরেল।
এ সময় মাউন্ট কার্সটেন্জ পিরামিড অভিযান-এর পতাকা মুসা ইব্রাহীমের হাতে তুলে দেন আরমান হাবিব।
এ সময় মুসা ইব্রাহীম অভিযানের ওপর একটি স্লাইড প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন।
এভারেস্ট একাডেমি ও নর্থ আলপাইন ক্লাব বাংলাদেশ এ অভিযান আয়োজন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরমান হাবিব বলেন, দশ সহস্রাধিক মানুষের কর্মসংস্থান করেছে নীলসাগর গ্রুপ। দেশ গড়ার পাশাপাশি এখন প্রতিষ্ঠানটি তরুণদের জন্য অনুসরণীয় নানা কাজে সহযোগিতা করছে। তারই অংশ হিসাবে নীলসাগর গ্রুপ মাউন্ট কার্সটেন্জ পিরামিড অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
এই অভিযানটি একাধারে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ এক্সপেডিশন টু মাউন্ট কার্সটেন্জ পিরামিড হিসাবেও পরিচালিত হবে। এতে মুসা ইব্রাহীম (দলনেতা), ভারতের এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত ও নন্দিতা চন্দ্রশেখর অংশ নিচ্ছেন।
আগামী ২৯ মে মুসা ইব্রাহীম ইন্দোনেশিয়া হয়ে পাপুয়া নিউগিনি’র উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। পাপুয়া নিউগিনি’র নাবিরে পৌঁছে মূল অভিযান শুরু হবে। এরপর পাঁচ থেকে ছয় দিন ট্রেকিং শেষে অভিযাত্রীরা ১৬ হাজার ২৩ ফুট উঁচু মাউন্ট কার্সটেন্জ পিরামিড চূড়া জয় করবেন বলে আশা করা যায়।
বিশ্বখ্যাত পর্বতারোহী রাইনোল্ড মেসনার অস্ট্রেলেশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত হিসাবে মাউন্ট কার্সটেন্জ পিরামিডকে (১৬,০২৩ ফুট) অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বিশ্বের সাতটি মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ চূড়া জয়ের যে অভিযান, সেই সেভেন সামিট-এর দিকে মুসা ইব্রাহীমের এটি পঞ্চম অভিযান।
এর আগে তিনি ২০১০ সালের ২৩ মে এশিয়া ও বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা ২৯,০৩৫ ফুট), ২০১১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আফ্রিকার সর্বোচ্চ মাউন্ট কিলিমানজারো (উচ্চতা ১৯,৩৪১ ফুট), ২০১৩ সালের ২৬ জুন ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এলব্রুস (উচ্চতা ১৮,৫১০ ফুট), ২০১৪ সালের ২৩ জুন উত্তর আমেরিকার সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ডেনালি (উচ্চতা ২০,৩২০ ফুট) জয় করেন।
আর ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ মাউন্ট অ্যাকঙ্কাগুয়া (উচ্চতা ২২,৮৪১ ফুট) অভিযানে আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিনি ২১ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ফিরতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৭
জেডএম/