প্রায় অাধাঘণ্টা অান্দামান সাগর ভ্রমণে চোখের সামনে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে অদ্ভূত অাকৃতির একটি দ্বীপ। যার দক্ষিণ প্রান্ত মূল দ্বীপ থেকে অালাদা হলেও বোঝার উপায় নেই।
এই চিকেন অাইল্যান্ড কোহ কাই নামেও পরিচিত। এছাড়াও কোগ গাই বা কোহ হুয়া খাওয়ান নামেও ডাকা হয়।
ক্রাবির পশ্চিম তীর থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় এই বিচিত্র অাকৃতির দ্বীপটিতে যেতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগে। পোদা আর তুপ অাইল্যান্ডের দক্ষিণে এ ছোট দ্বীপটির অবস্থান।
এটা পাথরের দ্বীপ। বড় অাকৃতির শিলা জমাট হয়ে এ দ্বীপটি তৈরি হয়েছে। দ্বীপের পশ্চিম পাশে সবজির চাষ হয়, আর পূর্ব পাশে মনোরম সমুদ্র সৈকত।
ক্রাবির অন্য দ্বীপগুলোর সঙ্গে এই দ্বীপের পার্থক্য হচ্ছে- স্বচ্ছ পানির নিচে বালি আর কোরালের অবস্থান স্পষ্ট দেখা যায়। ছোট ছোট ডক্টর ফিসের ঝাঁক ধরে ছুটে চলা অবলোকন করা যায়।
এখানে অারো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুটি দ্বীপ রয়েছে। বাম দিকে কোহ মুর এবং ডান দিকে তুপ। এখানে তীর ধরেই বালির ওপরের হাঁটু পানি পেরিয়ে এক দ্বীপ থেকে অারেক দ্বীপে যাওয়া যায়।
চিকেন অাইল্যান্ড থেকে ক্রাবির শেষ প্রান্তের উপকূলটা দেখতে ঠিক যেন ছবির মতো।
এখানকার পানিতে মাছের মতোই ভেসে বেড়াতে পারেন পর্যটকরা। স্পিড বোট আর নৌকাগুলোতে থাকে লাইফ জ্যাকেট, ড্রাইভ গ্লাস আর অক্সিজেন মাস্ক। এগুলো শরীরে জড়িয়ে সাগর তলে গেলেই চোখে পড়ে কোরালের সাম্রাজ্য। অদ্ভূত, অবর্ণনীয় সৌন্দর্যের এক দুনিয়া।
কোরাল বন থেকে দল বেঁধে বেরিয়ে অাসছে রং বেরংয়ের মাছের ঝাঁক। মাঝেমধ্যেই কোথাও যেনো ধাক্কা খেয়ে দিক বদলে ফেলছে পুরো দল।
এভাবে কোরালের ওপর পানিতে ভেসে বেড়ানোকে বলে স্নরকেলিং। প্রতিদিন এখানে স্নরকেলিং করতে অাসেন কয়েক হাজার পর্যটক।
তবে স্নরকেলিংয়ের সময় নিচের কোরালে অাঘাত পেয়ে পা এর কিছু জায়গায় কেটে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এই দ্বীপে স্থাপনা বলতে একটা ছোট রেস্টুরেন্ট, ওয়াইন শপ এবং একটা টয়লেট।
ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলোকে এখানে লং বোট বলে। ক্রাবির পশ্চিম তীর থেকে ৩০০ বাথেই লং বোটে উঠে পড়া যায় চিকেন অাইল্যান্ড দেখতে। তবে অন্তত অাটজন না হলে ছাড়ে না নৌকাগুলো।
নোপ্পারাত থারা বিচ থেকে স্পিড বোটে ৩০০ বাথ খরচ করেও সব দ্বীপ ঘুরে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এমএন/জেডএম