স্টেশনে প্লাটফর্মে প্রবেশের আগেই যাত্রীদের বসার জন্য কয়েক’শ আসন রয়েছে। সেখানে আশ-পাশে নান্দনিক সৌন্দর্য নজর কাড়ে সবার।
অবাক করার মতো বিষয় হলো ওয়াশরুমে গিয়েও গ্লাসে নিজের চেহারা দেখার জন্য তাকালেই দেখা যাচ্ছে একটি টাচ স্ক্রিন এলইডি মনিটর। চায়নিজ ও ইংরেজি দুই ভাষায় স্যোশাল বার্তা সঙ্গে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞাপন। পুরো স্টেশনের দেয়ালজুড়ে সর্বত্র স্ক্রিন আর তাতে চলছে বিজ্ঞাপন।
ঢাকার, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোর বিমানবন্দরগুলোতেও এমন বিউটিফিকেশনের স্বপ্ন দেখেন আবেদ মনসুর। নিজের ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বনানী বিমানবন্দর সৌন্দর্য বর্ধনে কাজ করেছেন তিনি। ঢাকা ঘিরে তার স্বপ্ন আরও। এ কারণে আরও সাংহহাই-এর মতো অত্যাধুনিক স্টেশনের সবকিছু দিয়ে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন সাজানোর পরিকল্পনা করছেন।
সাংহাই সুজিয়ান সুজো রেলস্টেশন ঘুরিয়ে আবারও তা দেখালেন ভিনাইল ওয়াল্ডের সিইও ও এমডি আবেদ মনসুর। বাংলাদেশে এমন সৌন্দর্যায়ন তার ভাষায়, আর দূরে নয় । যদিও টেলিভিশন স্ক্রিনের মতো ছোট মনিটট্রেন সামনে ভিড় জমিয়ে এখনও মানুষ ট্রেন কখন কোনো প্লাটফর্মে দেখে।
দ্রুত গতির ট্রেন চালু করে চীন যেমন তাদের রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বসেরা করেছে। তেমনি স্টেশনও সাজিয়েছে প্রযুক্তির সব ব্যবহার নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশকেও একই পথে নিতে বেসরকারি উদ্যোগের স্বপ্ন আছে অনেকের। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রেলরুটে এমন অত্যাধুনিক প্রাইভেট রেল নামাতে চান আবেদ মনসুর।
চারঘণ্টা দূরত্বের চীন যখন রেল স্পিড ৫০০তে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখনও ১০০ ছঁতে পারেনি। সবশেষ ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা নতুন কোচগুলোর গতি ১৫০ হলেও ৬০ থেকে ৭০ তে চালানো হয়।
সুজো থেকে ৩০০ কিলোমিটার পেরিয়ে জিনান রেলে আসতে দেড়ঘণ্টা লেগেছে। আরও একঘণ্টা গেলে বেইজিং। জিনান রেলস্টেশনে নেমে এখন ১৫ মিনিট দূরত্বের একটি হোটেলে। এই ১৫ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে চোখে পড়লো ১৫ লাখের বেশি এলইডি লাইটের ঝলমলে আলো। জিনানের এলইডির গল্প অন্যদিন...
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এসএ/এসআইএস/এএটি