ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পর্যটকদের মশালে নষ্ট হচ্ছে আলুটিলা সুড়ঙ্গ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
পর্যটকদের মশালে নষ্ট হচ্ছে আলুটিলা সুড়ঙ্গ আলুটিলা সুড়ঙ্গ। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের সুড়ঙ্গ দেখতে আসা পর্যটকদের ব্যবহৃত মশাল ও ফেলা রাখা উচ্ছিষ্ট খাবার পচে নষ্ট হচ্ছে সুড়ঙ্গের পবিবেশ।

প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আলুটিলার ঘুটঘুটে অন্ধকার সুড়ঙ্গে মশাল হাতে রোমাঞ্চকর অনুভূতি নিয়ে একপ্রান্ত থেকে প্রবেশ করে অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়া করেন পর্যটকরা। তবে দর্শণার্থীদের অসচেতনতা এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে নষ্ট হচ্ছে সুড়ঙ্গের পরিবেশ।

সুড়ঙ্গে মশালের ধোঁয়ায় পাথরে জমেছে কালো আবরণ। এছাড়াও সুড়ঙ্গের প্রবেশ মুখ থেকে শেষ প্রান্তের সবখানেই পর্যটকদের ব্যবহৃত কেরোসিনের তৈরি মশালে সয়লাব।  সুড়ঙ্গে দর্শণার্থীদের ব্যবহৃত ফেলা রাখা মশাল।  ছবি: বাংলানিউজ
আলুটিলা সুড়ঙ্গে সরেজমিনে দেখা যায়,  সুড়ঙ্গের পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে পর্যটকদের ব্যবহৃত মশালের স্তূপ করে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সুড়ঙ্গে পর্যটকদের উচ্ছিষ্ট খাবার পচে ও কেরোসিনের ধোঁয়ার গন্ধে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এছাড়াও দর্শণার্থীরা সুড়ঙ্গ পরিদর্শনকালে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে রেখে গেছেন মশালসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ। পাশাপাশি মশালের কেরোসিন সুড়ঙ্গের প্রবাহিত ঝিরির পানির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে।

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কোকনাট ত্রিপুরা পীযুষ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দুইদিন পরপর সুড়ঙ্গের ভেতরে পরিষ্কার করি। প্রতিদিন এখানে যে পরিমাণ পর্যটক আসেন তাতে প্রতিনিয়মিত সুড়ঙ্গ পরিষ্কার করা সম্ভব না। পর্যটকরা সচেতন হলে কাজটি অনেক সহজ হতো বলেও জানান তিনি। সুড়ঙ্গে দর্শণার্থীদের ব্যবহৃত ফেলা রাখা মশাল।  ছবি: বাংলানিউজ
খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ বাংলানিউজকে বলেন, সুড়ঙ্গে প্রবেশের আগে দর্শনার্থীদের ব্যবহৃত মশাল পুনরায় ফেরত দেওয়া বা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতাসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সেটি দেখভালের জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করতে পারে।
 
আলুটিলার সুড়ঙ্গের পরিবেশের বিষয়টি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলামকে অবগত করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা সরেজমিন গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।