ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

মৃতদেহগুলো ল্যান্ডমার্ক হয়ে গিয়েছিল: ওয়াসফিয়া

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
মৃতদেহগুলো ল্যান্ডমার্ক হয়ে গিয়েছিল: ওয়াসফিয়া

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্ণ হলে ওয়াসফিয়া নাজরীন ঠিক করেছিলেন স্বদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বিপদসংকুল পর্বতশৃঙ্গ কে-টু জয় করবেন। করোনার বাধাবিপত্তি কাটিয়ে পর্বতারোহীদের স্বপ্নের এই শৃঙ্গের চূড়ায় আরোহণের সংকল্প এ বছর পূরণ করেছেন ওয়াসফিয়া।

কে-টু জয় করার পর নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে সে গল্প সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ওয়াসফিয়া। তার দুঃসাহসিক অভিযাত্রা নিয়ে অচিরেই আসছে প্রামাণ্যচিত্র ও কার্টুন। ওয়াসফিয়ার বয়ানেই সেসব গল্প শুনে সেগুলো নিয়ে বাংলানিউজের পাঠকের জন্য লিখেছেন হোসাইন মোহাম্মদ সাগর।

সবুজ শাড়ীর সঙ্গে কপালে লাল টিপ। যখন হেটে এলেন, ঠিক যেন একখণ্ড বাংলাদেশ এগিয়ে এলো। দেশের একমাত্র ‘সেভেন সামিট’ জয়ী পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন ঝুলিতে যোগ করেছের আরেকটি বিজয়। সে বিজয় বাংলাদেশের, সে বিজয় স্বাধীনতার। এ প্রসঙ্গে কথা হলে ওয়াসফিয়া বলেন, বাংলাদেশের যখন স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্ণ হলো, তখনই ভেবেছিলাম স্বদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই কিছু একটা করবো। তারই ফলশ্রুতিতে কে-টু বিজয়।

তবে তার আগে যেন একটা দীর্ঘ বিরতি। কিন্তু আসলেই কি বিরতি? এমন প্রশ্ন উঠতেই ওয়াসফিয়া বলেন, আসলে দীর্ঘ বিরতি না। সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই মানে এটা নয় যে লং গ্যাপ। এই সময়ে আমি কিন্তু আমেরিকার অনেক পর্বত এবং আগ্নেয়গিরিতে আরোহণ করেছি। ট্রেনিংয়ে ছিলাম অন্য সামিটও করেছি। সেগুলোর ছবি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তাই এটা ঠিক না যে এটা লং গ্যাপ।

কারাকোরামের সর্বোচ্চ চূড়ায় আরোহণের জন্য ওয়াসফিয়াকে নিতে হয়েছিল জীবনের ঝুঁকি। বেস ক্যাম্পে যাওয়ার পথটি ছিল অত্যন্ত দুর্গম। আড়াই মাস থাকতে হয়েছিল সেখানে। আর এই যাত্রায় তিনি পাশে পেয়েছিলেন সাহসী একটি দল। সেই দলের অনেকেই পৃথিবী-বিখ্যাত পর্বতারোহী। যাদের মধ্যে ছিলেন মিংমা তেনজি শেরপা, মিংমা ডেভিড শেরপা এবং নির্মল পুরজা। কে-টু জয়ের ক্ষেত্রে শারীরিক শক্তির সঙ্গে সঙ্গে মানসিক শক্তি খুব প্রয়োজন। এই মানসিক শক্তির অনেকটাই এসেছে মেডিটেশন থেকে বলে জানান ওয়াসফিয়া।

তিনি বলেন, আমি যখন সামিটে উঠেছিলাম এটা এভারেস্টের থেকে মাত্র ২০০ মিটার নিচে, কিন্তু টেকনিক্যালি অনেক বেশি প্রেশারের। এরপর মন যখন নেগেটিভ প্যাটার্নে যায়, তখন- ইটস ভেরি ইজি টু লুজ ইউরসেলফ! তখন যে মেন্টাল স্ট্রেন্থটা লাগে, এটা অস্বাভাবিক।

কেমন ছিল কে-টু যাত্রা? এমন প্রশ্ন উঠতেই ওয়াসফিয়ার চোখ কারাকোরামের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়। সেই উজ্জ্বল স্মৃতির দৃষ্টি ভাষা হয়ে ধরা দেয় শব্দে। ওয়াসফিয়া বলেন, প্রতিদিন বেস ক্যাম্পে তো বসে থাকা যায় না। সবসময় এখানে ট্রেনিংয়ের মধ্যেই থাকতে হয়, হাটা চলার মধ্যে থাকতে হয়। তো আমার যে রেগুলার রাউন্ডটা ছিল, ওটার মধ্যে তিনটা ডেডবডি ছিল। একটা পর্যায়ে এই ডেডবডিগুলো একটা ল্যান্ডমার্কের মতো হয়ে যায়। এর মধ্যে একটা ডেডবডি অনেক পুরনো, উনার হাতটা বের হয়ে আছে। সকালবেলা আমাকে যখন শেরপা জিজ্ঞাসা করতো কোথায় যাচ্ছো? আমি বলতাই ঐ যে ওখানে। মানে ওই মৃতদেহটা একটা ল্যান্ডমার্ক ছিল। কে-টু’তে অনেক ভাঙা ডেডবডি। মানে জুতা থেকে একটা পা বের হয়ে আছে বা হাত জাস্ট ভাঙা অথবা মাথা ছাড়া বডি। এরপর পর্বতারোহী জন স্নোরি (John Snorri), উনি কে-টু সামিটে মারা যান। উনার বডির চোখ খোলা, ঠিক সামিটের ২০০ মিটার দূরে। একদম নীল চোখ, মানে উনি খুব সুন্দর এখনো দেখতে, মনে হচ্ছে যে এখনো বেঁচে আছেন। তার আগে নিচে আরও একটা মৃতদেহ, সেটা ওখানে বরফের মধ্যে কবর দেওয়া হয়েছে; কেননা এতো উচু থেকে বডি নামানো সম্ভব না। তো আপনি এগুলো ক্রস করে ওখানে যখন যাবেন, তখন আপনার প্রথম চিন্তাটা হবে- ও, আমিই বোধহয় নেক্সট!

ওয়াসফিয়া বলেন, এগুলো সব পার হয়ে আমি যখন সামিটে প্রায় পৌঁছে গেছি, আমি যখন সামিটের প্রেয়ার ফ্লাগটা দেখছিলাম তখন অনেক ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। এতো কষ্ট করে, এতো বছরের স্বপ্ন। যতটা সময় ওখানে আমি ছিলাম, পুরো পৃথিবীর রেনডম থটস, পথে-এয়ারপোর্টে কাকে ক্রস করেছি, এগুলো সব জাস্ট মাথার মধ্যে চলে আসছে। তারপর যখন আমি অলমোস্ট সামিটে পৌঁছে গিয়েছি, তখন শুনতে পাচ্ছি কে যেন চিল্লাচ্ছে সামিট থেকে ‘আই অ্যাম সো প্রাউড অব ইউ!’ আমি তাকিয়ে দেখি নিরুদা (নির্মল পুরজা/ Nirmal Purja) এখনো আমার জন্য অপেক্ষা করছে সামিটের উপর।

বড় বড় শ্বাস নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠার অভিনয় করে দেখাতে দেখাতে এ সময় ওয়াসফিয়া বলেন, উনি (নির্মল পুরজা) চিল্লাচ্ছে ওখানে ফুল পাওয়ারে, আর আমি এদিকে বড় বড় দম নিয়ে হা-হা করে হাপাচ্ছি। এরপর আমি সেখানে পৌঁছালাম! সামিটে নিরুদা ছিল, ডেভিড (মিংমা ডেভিড শেরপা) ছিল, ওরা সবাই খুব পার্টি করছে। তারপর উঠে ফার্স্ট ফ্ল্যাগটা দেখে আমি সেজদা দেওয়ার মতো পড়ে কান্না শুরু করেছি অক্সিজেন মাস্ক খুলে! একদম বাচ্চাদের মতো। আমি আমার পুরা লাইফে এভাবে কাঁদিনি কখনো। এটা অনেক পজেটিভ, অনেক দারুণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল।

শ্বাসরুদ্ধ এই দুর্গম যাত্রা শেষে ওয়াসফিয়া নাজরীন যখন কে-টুর চূড়ায় পা রাখলেন, তখন তিনি তাঁর আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না। ভাঙা গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছিল না তবুও জাতীয় সংগীত গাওয়ার চেষ্টা করলেন। নিজের চেয়েও বড় একটি পতাকা মেলে ধরলেন বিজয়ের আনন্দে। এ সময় অন্যদেশি পর্বতারোহীরাও বলে উঠলেন, ‘জয় বাংলা’। ৫০ মিনিটের মতো তাঁরা এই সামিটে সময় কাটান। ওয়াসফিয়া নাজরীনের ভাষায়, এরপর আমি মাস্ক পরলাম। আমার খুব ইচ্ছে ছিল জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার। কিন্তু আমার গলা এমন ভেঙে গিয়েছে, আমি ওখানে তিন/চারটা টেক দিয়ে শুধু ‘আমার সোনার বাংলা’ করে বড় বড় দম নিয়েছি। সামিনা বেগ নামে একজন পাকিস্তানি পর্বতারোহী আছেন, সে এটাতে প্রথম পাকিস্তানি, উনি আর আমি একই সময় পৌঁছেছি। ওদের ১৮ জনের প্রায় দল ছিল, এরা দেখি তখন ‘জয় বাংলা, জয় বাংলা’ করছে! আমি তো পুরো অবাক হয়ে গিয়েছি।

এমনও অনেক পৃথিবী-বিখ্যাত পর্বতারোহী রয়েছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা করেও কে-টু জয় করতে পারেননি। পিরামিড আকৃতির এই পর্বতশৃঙ্গে বেশিরভাগ পথ পাড়ি দিতে হয় খাঁড়াভাবে। পর্বতটির ৮০ শতাংশ জায়গা ৯০ ডিগ্রি কোণবিশিষ্ট হওয়ায় মৃত্যু ঝুঁকি ছিল অত্যন্ত বেশি। তিনি জানান, কে-টুয়ের ইতিহাসে পুরুষের চেয়ে নারীর মৃত্যু সংখ্যাই বেশি। তবে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে কে-টুর চূড়ায় গেঁথে দিয়েছেন লাল সবুজ বিজয় নিশান।

ফিরি ওয়াসফিয়া নাজরীনের কাছে। চোখ তখন তার কে-টু জয়ের রোমাঞ্চকর স্মৃতিতে ভরপুর। জয়ের গল্প তো বলেছেন, এবার তবে ফেরার গল্প হোক। ওয়াসফিয়া বলেন, তারপর তো নামা, নামা ওয়াজ এ হোল অ্যানাদার মেশিন। সামিট করা একটা ব্যাপার, আর নামা অন্য বিষয়। ওখানে মাথার মধ্যে সবাই ঢুকিয়ে দিয়েছে যে নামার সময় নারীরা মারা যায়। কারণ কে-টু’র ইতিহাসে আপনি যদি নারীদের ইতিহাস দেখেন, তাহলে দেখা যাবে অধিকাংশ নারীরই মৃত্য হয়েছে সামিট থেকে নামার সময়। তাই আবারও এখানে মেন্টাল স্ট্রেন্থ যেটা, সেটা প্রয়োজন খুব বেশি।

ওয়াসফিয়া নাজরীন বলেন, আমরা এক পুষে সামিট থেকে ক্যাম্প থ্রি তে চলে আসি। এটা অনেক ডিফিক্যাল্ট। সাত হাজার ৩০০ মিটারে আমরা ক্যাম্প ফোর ব্যবহার করিনি। তো ওইদিন রাতে আমি অক্সিজেন নেইনি আর। রাতে হঠাৎ আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। আমি কোভিডে অলমোস্ট মরে গিয়েছিলাম আড়াই বছর আগে। সো কোভিডের পর এটা আমার প্রথম ডেডজোন মাউন্টেন। তাই আমার ফুসফুসের ওপর দিয়ে অনেক ধখল গেছে। রাত সাড়ে ৪টার সময় আমি নিঃশ্বাস না নিতে পেরে উঠে মিংমা আর শেরপাকে বলেছি অক্সিজেন আনো। কারণ সাত হাজার ৩০০ মিটারে সবাই অক্সিজেন নেয়। কিন্তু আপনি যখনই অক্সিজেন নিবেন, এটা অনেক বাজে একটা অভিজ্ঞতা। টাইট হয়ে থাকে, আর আপনার শরীর কিন্তু তখন ভুল একটা অক্সিজেন লেভেলের সঙ্গে সমন্বয় করবে। তখন আমাকে নির্মল পুরজা ট্রেনিং দিয়েছিল এবং বলেছিল যে তুমি ক্যাম্প থ্রিতে সাধারণ বাতাস থেকে নিঃশ্বাস নাও, অক্সিজেন ব্যবহার করো না। তো আমি ওর তালে পড়ে অক্সিজেন আর নেইনি। শুধু ভেবেছি- আই ক্যান ডু ইট! যা হোক, ঐ রাতে একটু কষ্ট হয়েছিল।

ওয়াসফিয়া নাজরীন আবার গল্প বলেন, পরের দিন নির্মল পুরজা উঠে বলে, তুমি নিচে যাচ্ছো আমার সঙ্গে। আমি বলি- কেন? আমার তো ভয় লাগছিল। কারণ আমার সঙ্গে মিংমা। নির্মল বললো- ‘না, অনেক ফাস্ট নামতে হবে’। আর অধিকাংশ পর্বতারোহী ক্যাম্প ফোরে ছিল। ওরা যখন নামবে, এমনি অনেক রক ফল হয় কে-টু তে। ওরা ওতো কেয়ারফুল না। ওরা সবাই বসে ছিল যে যখন নির্মল পুরজা যাবে, আমরা ওদের পেছন পেছন যাবো। পুরো সময়টা আমরা যখন কে-টু তে ছিলাম, এরা যে কত ওয়েল রেসপেক্টেড! রোপ ফিক্সিং (দড়ি সেট করা) এর জন্য যে গ্রুপকে অ্যাসাইন করা হয়, যারা সামিট থেকে বেসক্যাম্প পর্যন্ত রোপটা সেট করে; স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকটা টিমের ওখানে কন্ট্রিবিউট করার কথা। কিন্তু নির্মল পুরজা এবং ওদের শেরপারা ওখানে এতো পরিচিত, নির্মলরা নিজেদেরটা করেছে, তারপর অন্য সবাই বলেছে যে আমরা রোপ ফিক্স করবো না, তোমরা করো। এজন্য আমি ফেসবুকে অনেককিছু আসলে বলিনি। কারণ নির্মল আমাকে বলেছিল যে- সবকিছু সিক্রেট রাখো, আমরা কখন সামিটে যাবো কাউকে কিছু বলবো না।

বিজয়ের আনন্দ হাসি সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে ওয়াসফিয়া বলেন, নামার সময় ক্যাম্প থ্রি থেকে একজন নরওয়েজিয়ানের পায়ে লেগে বড় একটা পাথর আমার মাথায় যখন পড়ছে, নির্মল ঠিক আমার পাশে, ও খুবই ডিফেন্সিভভাবে আমাকে রক্ষা করেছে। এরপর আমার মাথা থেকে মেরুদণ্ড পর্যন্ত পুরো একটা শক ওয়েভ! তখন থেকে তো নির্মল আমাকে বড় ভাইয়ের মতো, ছায়ার মতো দেখে রেখেছে। নামার সময় কয়েক জায়গায় ৮০ ডিগ্রির মতো। ব্ল্যাক পিরামিডের নাম শুনেছেন হয়তো যারা পর্বতারোহী, তারপর হাউজ চিমনি, এটা একটা চিমনির মতোন, ওটার ভেতরে ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল, ওখানে খুব বাজে রক (পাথর) টাইমিং, উপর থেকে পাথর পড়ছে। আর এই পাথর মানে আমি ছোট ছোট পাথরের কথা বলছি না, ইয়া বড় বড় পাথর। একটা পড়লে আপনার দড়ি ছিড়ে যেতে পারে, আপনার পা ভেঙে যেতে পারে। এই রকফলটা নামার সময় অনেক ডেঞ্জারাস। পুরা ক্যাম্প থ্রি থেকে এডভান্সড বেসড ক্যাম্প পর্যন্ত আমি নির্মল পুরজার সঙ্গে এক পুষে চলে এসেছি। আর যখন সেখানে পৌঁছালাম, আমার মনে হয়েছে যে- The hardest thing I have done.

ওয়াসফিয়ার কে-টু অভিযাত্রা নিয়ে তৈরি হচ্ছে কার্টুন ও প্রামাণ্যচিত্র। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে বিস্তারিত একটা কার্টুন বানাচ্ছি কার্টুনিস্ট মোরশেদ মিশুর সঙ্গে। আশা করি সেখান থেকেও অনেক মজা পাবেন। পুরো জিনিসটা একটা প্রামাণ্যচিত্র করা হচ্ছে, যেটা বাংলাদেশেও শুটিং হবে পরে এবং নেপালেও শুটিং হবে। সেটা নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া একটা বই বানানোর ইচ্ছে আছে। আশা রাখছি আগামী বইমেলাতে সেটি প্রকাশ পাবে।

ইতিহাস গড়ে বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন ৩৯ বছর বয়সী এই পর্বতারোহী। তার সঙ্গে কথা হয় সেদিনই। বিশ্বের সাতটি অঞ্চলের সর্বোচ্চ সাতটি শৃঙ্গ জয়ী একমাত্র বাংলাদেশি পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বিপদসংকুল পর্বতশৃঙ্গ ‌‌কে-টু জয় করেছেন। এ জন্য ১০ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে কে-টু যাত্রার জন্য তৈরি করেছেন বলে জানান ওয়াসফিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
এইচএমএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।