বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) মামলাটি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতে হাজিরা দেন।
মামলায় দুই আসামি তানভীর আহমেদ ও গালিব হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক আতাউর রহমান শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ২৪ জুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালে ৫ মার্চ একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে চার দলীয় জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র জমা দেন।
২৪ আসামির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ও যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ২০ জন।
অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- প্রাক্তন মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রাক্তন মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, প্রাক্তন মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন। আসামিদের মধ্যে সম্প্রতি এমকে আনোয়ার মারা গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এমআই/এমএ