সোমবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ৫ জনের মধ্যে গ্রেফতার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা (৭৭) আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক এবং এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খান উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর দাখিল করা হবে বলে জানিয়ে আব্দুল হান্নান খান জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মানুষকে আটক করে নির্যাতন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার প্রেমচারার আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ পাচঁজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতার আছেন একজন। বাকিরা এখনও পলাতক।
গ্রেফতারের স্বার্থে আটক আসামি আমজাদ ছাড়া পলাতকদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক।
আটক আসামির বিষয়ে হান্নান খান বলেন, যশোর বাঘারপাড়া থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন আমজাদ মোল্লা।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুসলিম লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে আমজাদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল শেষ হয়। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৪০ জনকে।
আসামিদের বিরুদ্ধে যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়না এবং মো. আয়েনউদ্দিন ওরফে আয়েনকে অপহরণ করে হত্যা, একই গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে হত্যা, গাইদঘাট গ্রামের সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে অপহরণ করে হত্যা এবং মাগুরা জেলার শালিখা থানার সীমাখালীর চিত্রা নদীর খেয়াঘাটের মাঝি রজব আলী বিশ্বাসকে আটক করে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
ইএস/এমএ/জেএম