সোমবার (২৫ জুন) ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে তমাল জামিনের আবেদন করেন। পরে বিচারক আবদুর রহমান আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তমালের পক্ষে জামিনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জহিরুল আমিন খান।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বজিত হত্যা মামলার দায়ে ছাত্রলীগ নেতা ক্যাডার রফিকুল ইসলাম শাকিলসহ রায়ে ৮ জনকে ফাঁসি ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতাকর্মী।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন- ছাত্রলীগ ক্যাডার রফিকুল ইসলাম শাকিল (চাপাতি শাকিল), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, কাইউম মিয়া টিপু, সাইফুল ইসলাম, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।
আর এইচ এম কিবরিয়া, খন্দকার মো. ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন ইমরান, আজিজুর রহমান আজিজ, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান এবং মোশারফ হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
পুরান ঢাকায় ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে টেইলার্স ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ হত্যার এক বছর ১০ দিনের মাথায় এ রায় ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক।
বহুল আলোচিত মামলাটির ২১ জন আসামির মধ্যে সবাই দণ্ডাদেশ পান। তাদের মধ্যে তমালসহ ১৩ আসামিই পলাতক ছিলেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দল বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মমভাবে নিহত হন নিরীহ টেইলার্স ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাশ। ওইদিন রাতে অজ্ঞাতনামা ২৫ জন আসামির বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় মামলা করে পুলিশ।
পরে ৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে ২১ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় দেওয়া হয়; যাদের সবার বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এমআই/এমএ