খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) সকালে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান তা মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে ১০ জুলাই পর্যন্ত জামিনে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়া ১৫০ দিন অনুপস্থিত। আইনগতভাবে তাকে আদালতে হাজির করা হলে এ মামলার কার্যক্রম সম্ভব হতো।
এর আগে গত ৪ জুন পর্যন্ত জামিনে ছিলেন খালেদা জিয়া। ওইদিন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন।
আরো পড়ুন>>
** চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়লো
পরে আদালত তা মঞ্জুর করে ১০ জুলাই (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বর্ধিত করেন। এদিনও খালেদার জামিন ফের বাড়ানো হয়েছে।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়াও অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এমআই/এমএ/