ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরা সংকল্পপত্র নামে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করল বিজেপি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
ত্রিপুরা সংকল্পপত্র নামে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করল বিজেপি 

আগরতলা, (ত্রিপুরা): অবশেষে ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইশতেহার প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।  

বৃহস্পতিবার রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইশতেহার প্রকাশ করে দল।

‘ত্রিপুরা সংকল্পপত্র’ নামক এই ইশতেহারের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেব বর্মণ, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী প্রতিমা ভৌমিক প্রমুখ।

ইশতেহারের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচনের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে উন্মোচনের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, যখন অন্য কোনো দল তাদের ইশতেহার প্রকাশ করে, তখন ওই দলের নেতাকর্মীরা নিজেরাই অতটা গুরুত্ব দেয় না, তাই সমাজ তাদের ইশতেহারের গুরুত্ব কি করে দেবে। বিজেপি দল যখন সংকল্পপত্র প্রকাশ করে এটা শুধুমাত্র একটি কাগজের টুকরায় লেখা কিছু কথা নয়। এর অর্থ হচ্ছে ত্রিপুরাবাসীর প্রতি দলের প্রতিশ্রুতি। তাই সারা রাজ্যের পাশাপাশি দেশের মানুষও অপেক্ষায় থাকে সংকল্প পত্রের কি লিখবে। আগে এমন ছিল যখন একের পর এক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। সময়ের সাথে সাথেই প্রতিশ্রুতিগুলো পরিবর্তন করে নতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো এবং পুরাতন প্রতিশ্রুতি ভুলে যেত। কিন্তু বিজেপি ভারতীয় রাজনীতির সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে এই পরিবর্তন এসেছে।  

তিনি আরো বলেন, গত ৭০ বছরে মানুষ শুনেছেন কি কাজের নিরিখে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে জনগণের সামনে আসতে? কিন্তু বিজেপির কার্যকর তারা তাদের কাজের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসেন।  

নাড্ডা আরো বলেন, ২০১৮ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির তরফে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন এগুলো সবক’টি পূরণ হয়েছে। বিজেপি সরকারের সময়ে রাজ্যে অবতরণ করলে দেখা যায় বিমানবন্দর থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট পরিকাঠামো এগুলোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গ্রামকে শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে। যুব প্রজন্মের জন্য কাজের ব্যবস্থা, মহিলাদের স্বশক্তিকরণ, কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতির অন্য কাজ করছে।
 পাশাপাশি তিনি আরো বললেন বিজেপি রাজ্যবাসীর জন্য যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার সব কটি পূরণ করেছে, পাশাপাশি যে প্রতিশ্রুতিগুলির দেয়নি তার মধ্য থেকে অনেক কাজ করেছে।

আগামী দিনের সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে। মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছে তাই বিপুল ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করবে বলেও দাবি করেন।

২০১৮ সালে বিজেপি তাদের যে ইশতেহার  প্রকাশ করেছিল তার নাম ছিল ভিশন ডকুমেন্ট। এতে প্রায় ৩০০টি প্রতিশ্রুতি ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ এগুলোর একটিও পূরণ হয়নি।

অপরদিকে বিজেপির দাবি লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছে এই সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad