ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলার অক্সিজেন পার্কে অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
আগরতলার অক্সিজেন পার্কে অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলার শালবাগানের অক্সিজেন পার্কে অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা। শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তা উদ্বোধনের সময় পার্কে একটি নাগেশ্বর গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।

 

অর্কিডরিয়ামের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এই পার্কে নতুন পালক সংযোজিত হলো। এর মধ্যে মূলত দেশ বিদেশ বিভিন্ন জাতের অর্কিড রয়েছে। এর মধ্যে কিছু জাতের অর্কিড নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় কাচের তৈরি বিশেষ ঘরের মধ্যে লাগানো হয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে বেড়ে উঠছে। রাজ্যে অর্কিডকে সংরক্ষণ ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপিত করার লক্ষ্যেই এই স্টেট অব আর্ট অর্কিডরিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জায়া স্বপ্না সাহা, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিলা দাস, মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, রাজ্য সরকারের বনদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক (পিসিসিএফ) কে এস শেঠিসহ বন দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।  

এসময় মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা মানিক সাহা বলেন, এই অক্সিজেন পার্কের সৌন্দর্যতা উপভোগ করলে এই পার্কের নামের স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। রাজ্যের বন দপ্তরের উদ্যোগে এই অক্সিজেন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আবার নতুন করে আরও একটি সৌন্দর্য সংযোজিত হলো। এই অর্কিডরিয়াম ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও আকর্ষণীয় করবে।  

তিনি বলেন, এই অর্কিডরিয়ামে ৫০টি প্রজাতির অর্কিড রয়েছে যার মধ্যে ২০টি প্রজাতির অর্কিড ত্রিপুরার। এছাড়াও এই পার্কে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, গাছপালা এবং বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ।  

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ত্রিপুরা সফরে আসছেন। ত্রিপুরার পর্যটন, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়কে তাদের সামনে তুলে ধরা হবে। যাতে তারা ত্রিপুরা সম্পর্কে আরও আকৃষ্ট হন। জি-২০ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এই অক্সিজেন পার্কেও আসবেন।  

তাছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এতে ত্রিপুরার পর্যটনের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী প্রচারের আলোয় আসবে ত্রিপুরার পর্যটন। এতে আগামীদিনে ত্রিপুরার পর্যটনের উন্নতি ঘটবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন।  

তিনি বলেন, ত্রিপুরার মানুষ স্বভাবতই অতিথিপরায়ণ। জি-২০ প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে ত্রিপুরা সরকার প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যের বন দপ্তর বনজ সম্পদের মান উন্নয়নে সর্বদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনেও যাতে এই বনজ সম্পদের গরিমা বাড়ানোর পাশাপাশি এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায় সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করছে বন দপ্তর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
এসসিএন/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।