আগরতলা,(ত্রিপুরা): পবিত্র রমজান মাসের রোজা শেষে অবশেষে এলো খুশির ঈদ। ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাসরত ইসলাম ধর্মাবলম্বীর মানুষও খুশির এই ঈদে শামিল হয়।
রাজ্যের সবচেয়ে বড় নামাজ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী আগরতলার শান্তিপাড়া এলাকার গেদুমিয়া মসজিদে। এই মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে এদিন কয়েকশো মুসল্লী একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
বিভিন্ন বয়সী মুসল্লিদের পাশাপাশি নামাজ পড়তে ঈদগা ময়দানে উপস্থিত ছিল শিশুরাও। স্থানীয় এলাকার মানুষের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগরতলা এসে কর্মরত মানুষ যেন এই ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করে থাকেন, এবছরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এখানে উপস্থিত মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের পাশাপাশি গরিব মিসকিনদের মধ্যে সহায়তা দেন। নামাজ শেষে উপস্থিত সবাই একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এদিনের ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল রহমান।
তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসের ধারাবাহিক রোজা রাখার পর আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। এক মাসের ত্যাগ ও বিসর্জনের পর আল্লাহতালা বিশেষ উপহার এবং খুশির দিন আসে এই দিনটাকে ঈদুল ফিতর বলা হয়। ঈদ মানে খুশি এবং ফিতরের অর্থ হচ্ছে দান। সমাজের ধনী অংশের মানুষ নামাজ আদায় করতে আসার আগে গরিব মিসকিনদের মধ্যে দান করে থাকেন। তাই এই দিনটাকে ঈদুল ফিতর বলা হয়।
এই খুশির দিনে রাজ্যের সব ধর্ম এবং বর্ণের মানুষদের ঈদ মোবারক জানান তিনি।
ঈদের এই আনন্দ রাজ্যের প্রতিটি ধর্ম এবং বর্ণের মানুষের ঘরে ঘরে যাতে সমানভাবে পৌঁছে যায়, এই খুশিকে কেন্দ্র করে বছরের প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহূর্ত যাতে মানুষ ভালোভাবে কাটাতে পারেন। সকলে যাতে শান্তি সম্প্রীতি এবং সৌভ্রাতৃত্বের মধ্যে কাটাতে পারেন এই কামনা করেন তিনি।
গেদু মিয়া মসজিদের পাশাপাশি রাজধানী আগরতলার রামনগর জামে মসজিদ, শান্তি পাড়া জামে মসজিদ, প্রতাপগড় মসজিদ বড়জলা মসজিদসহ রাজ্যের প্রতিটি ছোট বড় মসজিদে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৩
এসসিএন/এএটি