ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আগরতলা

মণিপুরের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক দেখতে চান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৩
মণিপুরের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক দেখতে চান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা (ত্রিপুরা): উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে উদ্বিগ্ন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা। কারণ সে রাজ্যের মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছে।

মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার (৫ মে) দুপুরে আগরতলায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। এ দিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা, ত্রিপুরা পুলিশের মহা-নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জনসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।  

সে রাজ্যে পাঠরত ত্রিপুরার ছাত্র-ছাত্রীরা নিরাপদে রয়েছে, তবে তারা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে মণিপুরে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী মেডিকেলসহ বিভিন্ন কলেজে পাঠরত রয়েছে তাদের যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য ত্রিপুরা সরকারের তরফে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে একটি হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে।  

প্রয়োজনে তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হবে। ধীরে ধীরে সে রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেন ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সদস্য এবং তিপ্রা মথা দলের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা জানান, তিনি ইতোমধ্যে মণিপুরের একাধিক জাতি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং শান্তি সম্প্রতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।  

সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, হিংসার মধ্য দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। সমস্যার সমাধানে আলোচনার টেবিলে বসে এই আহ্বান রাখেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মণিপুরের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সে রাজ্যে ত্রিপুরার বহু জনজাতি ছাত্রছাত্রীরা আটকে আছে। যদি তারা ফিরে আসতে চায় তাহলে তিনি তাদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবেন। বিনামূল্যে তিনি তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২৩
এসসিএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।