ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরায় আনারসে জিআই ট্যাগ ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
ত্রিপুরায় আনারসে জিআই ট্যাগ ব্যবহার বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকরাও যাতে এখন থেকে সরাসরি জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন এ উদ্দেশ্যে আগরতলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো। শুক্রবার (২৬ মে) অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ কৃষকদের তুলে ধরেন বিশেষজ্ঞরা।

 

ভারত সরকারের উত্তর-পূর্বাঞ্চল (ডোনার) মন্ত্রণালয়ের অধীনে উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক কৃষি বিপণন কর্পোরেশনের (নেরামিক) ১৩টি পণ্যের ভৌগলিক চিহ্নিত করণ (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) শংসাপত্র রয়েছে, যার মধ্যে ত্রিপুরার কুইন আনারস একটি।

এই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন সম্পর্কে ত্রিপুরার আনারস চাষীদের সচেতন করার লক্ষ্যে শুক্রবার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত এ আলোচনা সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ, নেরামিক’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর (অব.) রাজীব অশোক, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত ইভেন্টটি জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন বিশেষজ্ঞ ড. রজনী কান্ত দ্বিবেদী, ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা ড. শরদিন্দু দাস, উদ্যান ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের অধিকর্তা ড. পি বি জমাতিয়া, উত্তর-পূর্বাঞ্চল কৃষি ব্যাংকের আগরতলা শাখার জেনারেল ম্যানেজার লোকেশ দাস প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে কৃষকদের আয় দিয়ে গুণ করা। এইজন্য রাজ্য সরকার একের পর এক কৃষক সহযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিশেষ করে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও আর্থিকভাবে সমস্যায় না পড়েন তার জন্য ফসল বীমা যোজনা করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারও কৃষকদের জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো সারা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি কৃষক উৎপাদক সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সয়েল হেলথ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষিতে আরও বেশি করে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রোন প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সবজি এবং ফসল ভালোভাবে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কৃষাণ রেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০০ জন আনারস চাষী এদিনের এই আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে ছিলেন। এই সব চাষীদের জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন সনদ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় পর্বে বিশেষজ্ঞরা জিআই ট্যাগ ব্যবহার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এসসিএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।