ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

ঘরের মেঝেতে মায়ের কবর দিলেন ছেলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২৩
ঘরের মেঝেতে মায়ের কবর দিলেন ছেলে

আগরতলা(ত্রিপুরা): মায়ের মৃত্যুর খবর পাড়া-প্রতিবেশীকে না জানিয়ে বসত ঘরের মেঝেতে কবর দিলেন ছেলে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে আগরতলার অরুন্ধতীনগরের রামঠাকুর পাড়া এলাকায়।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে এই এলাকার বাসিন্দারা জানান, সাধনা সাহা (৯০) ও তার ছেলে আশীষ সাহা বাড়িতে থাকতেন। সাধনা সাহা নানাবিধ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন এবং তার ছেলে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ফলে তাদের বাড়িতে পাড়া-প্রতিবেশীদের তেমন একটা যাওয়া আসা ছিল না। কিন্তু এদিন সন্ধ্যা নাগাদ প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করেন আশীষ সাহা ঘরের মধ্যে মাটি খোড়াখুড়ি করছে। তখন কয়েক জন বাড়িতে গিয়ে জানতে চান কি করছে? এসময় আশীষ সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। তার মাকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে তারা জিজ্ঞাসা করেন তিনি কোথায় আছেন? তখন আশীষ জানান তার মা এক মাসির বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু এলাকাবাসী জানেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার কারণে তিনি বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না এমনকি তিনি কোনো যানবাহনেও চড়তে পারেন না। তাই তাদের সন্দেহ হয়, তখন তারা তাকে এ বিষয়ে যারা করতে থাকেন।

এক সময় তিনি স্বীকার করেন যে সোমবার (৩ জুলাই) রাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান মারা যাওয়ার আগে তার মা বলে গেছেন, মৃত্যুর পর যেন তাকে ঘরের মধ্যে কবর দিয়ে দেয়। সে তার মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুসারে ঘরের মধ্যে কবর দিয়েছে। কি করে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে তার মা উচ্চরক্ত ও ডায়াবেটিস রোগে ভুগছিলেন। তাই হয় তো কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে।  

খবর পেয়ে ছুটে আসে অরুন্ধতীনগর থানার পুলিশ। মাটি খুঁড়ে স্থানীয় সময় রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বহু মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় জমান। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২৩
এসসিএন/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।