তিনি আরও জানিয়েছেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিধিবদ্ধতা নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২০১১-র নভেম্বরে এক চুক্তিও সই হয়।
এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশই দ্বিপাক্ষিক বিজ্ঞানভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়।
এই সম্মতি অনুসারে কার্যকর পদক্ষেপের লক্ষ্যে চুক্তির বিভিন্ন অনুচ্ছেদ ও ধারায় উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতামূলক শিক্ষার ব্যাপারে উল্লেখ রয়েছে। উভয় দেশেই সুন্দরবন এলাকার মানুষজনের বাঘের আক্রমণে বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সদস্যরা উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলো সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পরামর্শক্রমে প্রয়োজন সাপেক্ষে পদক্ষেপের বিষয়ে মতামত বিনিময় নিয়মিতভাবে চালিয়ে যাবে বলে শ্রী দাভে তার জবাবে উল্লেখ করেন।
এছাড়া বনাধিকারী বা উদ্যান অধিকর্তা থেকে শুরু করে উভয় দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে পর্যন্ত উদ্ভুত পরিস্থিতি পর্যালোচনার সংস্থান সংশ্লিষ্ট চুক্তির বিভিন্ন অনুচ্ছেদে রয়েছে। এই বিধিবদ্ধতার বিষয়টি পাঁচ বছরের জন্য বৈধ বলে বিবেচিত। তবে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে ৯০ দিনের নোটিশে চুক্তিভঙ্গের ব্যাপারে সহমত না হলে সংশ্লিষ্ট চুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবিকরণ হওয়ার ব্যাপারে সভাকে অবহিত করেন দাভে।
ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে এক প্রেস রিলিজে এ খবর জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এসসিএন/এসএনএস