তবে এতো প্রযুক্তির উন্নতির পরও সাবেকী হালখাতায় হিসাব রাখার ব্যবস্থা পুরোপুরি মিটে যায়নি। এখনো বহু ব্যবসায়ী হালখাতায় যাবতীয় ব্যবসায়িক হিসাব রাখছেন।
তবে এ কম্পিউটারের যুগেও যে হালখাতার চাহিদা এতোটা কমেনি তার প্রমাণ পাওয়া যায় বাংলা বছরের শেষ লগ্নে। প্রতিবার বছরের শেষ দিকে খাতার দোকানগুলোতে হালখাতার জন্য ব্যবসায়ীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এবছরও বৃহস্পতিবার(১৩ এপ্রিল) দুপুরে আগরতলার ওরিয়েন্ট চৌমুহনীর বই পাড়ায় খাতার দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেল হালখাতা কেনার জন্য ব্যবসায়ীদের উপছেপড়া ভিড়। ছোট, বড়, মাঝারি, ভাজ করা নানা আকারের ও নানা মূল্যের হালখাতা রয়েছে দোকানগুলোতে। ব্যবসায়ীরা তাদের পছন্দ মত খাতা কিনে নিচ্ছেন।
বাংলা বছরের প্রথম দিন নতুন হালখাতায় আরাধ্য দেবতার কাছে পূজা দিয়ে নতুন খাতায় হিসাব লেখা শুরু করবেন।
এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান এখন কম্পিউটারে হিসাব রাখা হলেও হালখাতার চাহিদা বিন্দুমাত্র কমেনি। তিনি আরও জানান, ক্রেতাদের চাহিদা মত খাতা সরবরাহ করতে পারছেন না।
হালখাতা কিনতে আসা এক পৌড় ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, এখন অনেকে হালখাতা ছেড়ে কম্পিউটারে হিসাব রাখা শুরু করলেও দীর্ঘ বছর ধরে তিনি হালখাতায় হিসাব রাখছেন। তা তিনি ছাড়তে পারবেন না। পরবর্তী প্রজন্ম ব্যবসায় এলে তারা চিন্তা করবে কি ভাবে হিসাব রাখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
এসসিএন/এসএইচ