এই বড় সত্রগুলো হলো আয়োনিদি সত্র, দক্ষিণপাত সত্র, বেঙ্গেত্রাই সত্র, চামাগুরী সত্র, বাগপুর সত্র, গারামোর সত্র ও কমলাবাড়ী সত্র। কিছু কিছু সত্র'র আবার শাখাও রয়েছে মাজুলী সহ আসাম রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়।
এক একটি সত্রের অধীনে কয়েক শ' বিঘা জমি রয়েছে। এই জমির উৎপাদিত ফসলে সত্রেল খরচ চলে। আবার এক একটি সত্রের অধীনে শিষ্য রয়েছেন প্রায় হাজারেও বেশি।
সত্র মূলত আশ্রম, এই আশ্রমগুলোর অধিকাংশই ষোল’র দশকে প্রতিষ্ঠিত। বেশির ভাগ সত্রতে তিনজন সত্রাধিকারী থাকেন। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এই ক্রমান্বয়ে কাজের ক্ষমতা ভাগ করা থাকে।
তাছাড়াও এখানে নানা বয়সী আবাসিকরা থাকেন। এতে থাকেন অল্প বয়সী কিশোররাও। এখানে থাকা ছেলেরা সরকারি স্কুলে গিয়ে যেমন শিক্ষা গ্রহন করে তেমনি সত্রতে প্রথাগত সংস্কৃতি চর্চার অনুশীলন করে।
সকাল আটটা থেকে রাত আটটার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মোট ১৪টি প্রসঙ্গ নিয়ে (সংস্কৃতি চর্চা) কথা হয়।
এই সংস্কৃতি চর্চায় মূলত বাদ্যযন্ত্র যেমন খোল, কর্তাল, নৃত্য, সঙ্গীত ও অভিনয় শেখানো হয়।
এই সঙ্গীত নৃত্যের মধ্যে রয়েছে ভাওনা, গায়ন বায়ন ইত্যাদি।
প্রতি বছর এই সত্রগুলোতে ৪ থেকে ৫ দিনব্যাপী পালনাম নামে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তখন সত্রের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
অনেক সত্রতে মিউজিয়াম রয়েছে। এগুলোতে প্রাচীনকালের অহোম রাজাদের নিত্য দিনের ব্যবহার্য রূপার সামগ্রী, রাজাদের পোষাক, বাদ্যযন্ত্রসহ অস্ত্র রয়েছে। সত্র দেখতে কোরো রূপি না লাগলেও মিউজিয়াম দেখার জন্য রূপি দিতে হয়।
সত্রে বসবাসরত ভক্ত বৈষ্ণবরা বিয়ে করেন না। আজীবন সত্রতে কাটিয়ে দেন। কিছু কিছু সত্রে শুধুমাত্র পুরুষরা থাকেন এগুলোকে বলা হয় উদাসীন সত্র। আবার কিছু সত্রে নারী পুরুষ উভয়ে আলাদা ভাবে থাকেন।
কিছু কিছু সত্রে বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এসসিএন/বিএস