ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলা-আখাউড়া প্রস্তাবিত রেলপথে দু’দেশের প্রতিনিধি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
আগরতলা-আখাউড়া প্রস্তাবিত রেলপথে দু’দেশের প্রতিনিধি আগরতলা-আখাউড়া প্রস্তাবিত রেলপথে দু’দেশের প্রতিনিধি/ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: ঢাকা-কলকাতা ও খুলনা-কলকাতার পর বাংলাদেশের সঙ্গে আরও একটি রুটে ভারতের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হতে যাচ্ছে। এবার ট্রেন চলছে উত্তরপূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত। 

আগরতলা ও আখাউড়া রেল স্টেশনের মধ্যের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার ও ইন্দো-বাংলা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া স্টেশনের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার ।

 

ভারতীয় অংশের রেলপথ নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রায় শেষ। সম্প্রতি ঢাকা শহরে এই নতুন রেলপথ নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বুধবার (৩০ আগস্ট) ভারত ও বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি দল আগরতলা-আখাউড়া রেলপথের প্রস্তাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন।  

এদিন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল আখাউড়া আইসিপি দিয়ে আগরতলায় ঢোকেন। ভারত সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান ও আইসিপি থেকে চলে যান আগরতলা রেল স্টেশনে। সেখান থেকে প্রস্তাবিত রেলপথের জায়গা ঘুরে দেখেন এবং রেলপথের নকশার সঙ্গে মেলান।  

প্রতিনিধি দলটি আগরতলা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত ঘুরে দেখেন, যেখান দিয়ে রেলপথ ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে বাংলাদেশে ঢুকবে।  

এদিন এই প্রতিনিধি দলে ভারত সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এম সুব্বা রেড্ডী, ত্রিপুরা সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন দফতরের জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট কমিশনার সমরজীৎ ভৌমিক, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক মিলিন্দ রামটেকসহ অন্য কর্মকর্তারা।  

ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দফতরের জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট কমিশনার সমরজীৎ ভৌমিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলস্বরূপ উভয় দেশের কর্মকর্তাদের এ যৌথ পর্যবেক্ষণ। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে ও ২০১৯ সালের প্রথম দিক থেকেই উভয় দেশের মানুষ এ রেলপথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।  

তবে এই পর্যবেক্ষণের বিষয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা কোনো মত ব্যক্ত করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
এসসিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।