আবার রামায়ণে উল্লেখিত আছে, শ্রীরামচন্দ্র দশেরার দিন লঙ্কায় রাবণ বধ করে সীতাকে নিয়ে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন ও ২১ দিন পর রাজধানী অযোধ্যায় ফিরে আসেন। রাম চন্দ্রের সীতা দেবীকে অযোধ্যায় নিয়ে আসার খুশিতে সন্ধ্যায় প্রজারা প্রত্যেকে নিজ বাড়িতে প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করেন।
এদিন সন্ধ্যা হতেই প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে মাটির প্রদীপ, মোমবাতিসহ নানা রঙের বৈদ্যুতিক বাতি। গত দুই বছর ধরে দীপাবলিতে সংযোজিত হয়েছে রঙিন আকাশবাতি। এদিন সন্ধ্যা নামতেই চীনা আকাশবাতিতে ভরে যায় রাজধানী আগরতলার আকাশ। উত্তর থেকে দক্ষিণ অথবা পূর্ব-পশ্চিম যে দিকেই তাকানো যায়, আকাশে উড়ে চলছে আলোর রোশনাই।
সন্ধ্যায় হিন্দু অংশের মানুষের অনেকেই কলাগাছের তৈরি নৌকায় প্রদীপ জ্বালিয়ে তা বাড়ির পুকুর বা পার্শ্ববর্তী স্রোতে ভাসিয়ে দেন।
পৌরাণিক মতে, এই আলোকিত নৌকায় চড়ে মৃত পিতৃ পুরুষের আত্মা অন্ধারাচ্ছন্ন যমালয় থেকে স্বর্গে পাড়ি দেন। আবার উত্তর ভারতসহ দেশের কিছু কিছু অঞ্চলের নারীরা পরিবারের সুখ সমৃদ্ধি চেয়ে সন্ধ্যায় পানিতে প্রদীপ ভাসিয়ে দেন।
দীপাবলি উপলক্ষ্যে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি'র মহিলা মোর্চার সদস্যারাও সন্ধ্যায় আগরতলার মেলার মাঠের দিঘির পানিতে প্রদীপ ভাসিয়ে দেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন মোর্চার সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সমগ্র বিশ্ব থেকে সকল অন্ধকার দূর হয়ে সুখ সমৃদ্ধি আসুক এই প্রার্থনায় তারা এই কর্মসূচি উদযাপন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
জেডএম/