ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা (ত্রিপুরা): সারা ভারতে দলিত নির্যাতন রোধ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ, বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, ত্রিপুরা রাজ্যের শান্তি, সম্প্রতি রক্ষা ও রাজ্যে অষ্টম বামফ্রন্ট সরকার গঠনের লক্ষ্যে জনসভা করেছে ত্রিপুরা তফশিলি জাতি সমন্বয় সমিতি।
 

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আস্তাবল ময়দানে আয়োজিত এ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআই (এম) দলের পলিট ব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।  

জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বলেন, গত সাড়ে ৩ বছরে ভারতে দলিত ও সংখ্যলঘু মানুষের ওপর আক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এতে সমস্যায় পড়ছেন গরিব ও দলিত অংশের মানুষ। বাড়ছে কৃষকদের আত্মহত্যার ঘটনাও।  

‘গত ৩ বছরে গড়ে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি কৃষক আত্মহত্যা করছে। দেশে এখন বছরে ৯২ থেকে ৯৪ লাখ মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। ’
 
মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, বিজেপি ও আরএসএস স্বেরাচারী মনোভাব নিয়ে বৃটিশদের মতো কাজ করছে। এ অবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকার বিকল্প পথ দেখাবার চেষ্টা করছে, এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, পরপর তিনবার ত্রিপুরা রাজ্য রাষ্ট্রীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান যোজনায় ত্রিপুরা প্রথম হয়েছে। কিন্তু এখন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এ প্রকল্পের অর্থ দিচ্ছে না।

আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রের শাসক দল এখানেও ক্ষমতায় আসার জন্য রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন মানিক সরকার।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-ত্রিপুরা সরকারের তফশিলি দফতরের মন্ত্রী ও ত্রিপুরা তফশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির সভাপতি রতন ভৌমিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিধায়ক সুধন দাস, সংসদ সদস্য ঝর্না দাস বৈদ্য, রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে, শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী প্রমুখ।

রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনের সদস্যরা সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এসসিএন/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।