ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আগরতলা

৫০ লাখ রুপি'র বিনিময়ে ছাড়া পেলেন ৪ ব্যাংকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৭
৫০ লাখ রুপি'র বিনিময়ে ছাড়া পেলেন ৪ ব্যাংকার অপহৃত রক্তিম ভৌমিকের বাবা রতন ভৌমিক

আগরতলা: ত্রিপুরা গ্রামীন ব্যাংকের অপহৃত চার কর্মী ৫০ লাখ রুপি'র বিনিময়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অপহৃত রক্তিম ভৌমিকের বাবা রতন ভৌমিক।

শনিবার (০২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগরতলার ধ্বলেশ্বর এলাকার নিজ বাড়িতে ছেলে রক্তিমকে বসিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কাছে এসব কথা জানান তিনি।  

তিনি আরো বলেন,  প্রথম থেকেই অপহরণকারীরা ৫০ লাখ রুপি মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে আসছিলো।

তারা এই অর্থের পরিমাণ কমানোর জন্য বহু অনুনয় বিনয় করে করে ছিলেন কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে দাবি মত অর্থ দিয়ে ছেলেসহ অন্যান্যদেরকে মুক্ত করে আনতে হয়।
 
তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা গ্রামীন ব্যাংকের তৈদু শাখার চার কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে গেলেও ৫০লাখ রুপি জোগাড় করেছেন তিন অপহৃতের পরিবার। এরা হলেন রক্তিম ভৌমিক, তন্ময় ভট্টাচার্য্য ও সুজিত দে'র পরিবার। তবে সুব্রত দেববর্মা নামে আরো এক কর্মীকে অপহরণ করা হলেও তার পরিবার থেকে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি বলে জানান রক্তিম'র বাবা। তারা মুক্তিপনের অর্থ অপহৃত সুব্রত দেববর্মার খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া মহকুমার মানিক বাজার এলাকার বাড়িতে একটি ব্যাগে ভরে দিয়ে আসেন। এরপর কে কি ভাবে নিয়ে গিয়েছে তা তারা জানেন না বলেও জানান।  

গত শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) এই অর্থ দিয়ে আসার পরদিন শনিবার (০১ নভেম্বর) সকালে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন।  
সেই সঙ্গে তিনি ত্রিপুরা সরকারের কাছে দাবি জানান, তাদের কষ্টার্জিত অর্থ যাতে ত্রিপুরা সরকার যাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তিনি আসাম রাজ্যের হোজাই এলাকায় নিপকো সংস্থায় চাকরি করছেন।  

এই কদিন তাদের বাড়িতে সাংবাদিকরা খোঁজ-খবর নিতে গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এর জন্য তিনি এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই কদিন তারা চিন্তার মধ্যে ছিলেন তাই সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেননি বলে জানান।

অপহৃত রক্তিম বলেন,  তাদেরকে কিছুটা রাস্তা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার পর পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হাটিয়ে নিয়ে গিয়েছে ও প্রতিদিন এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে নিয়ে যেতো। এমনকি শারিরীক ভাবে তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলেও জানান। তাদের অত্যাচারে তিনি বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের চোখ বাধা অবস্থায় ছিলো। যারা তাদের অপহরণ করেছিলো তারা সামরিক পোশাকে ছিলো ও তাদের মুখ কালো কাপড়ে বাধা অবস্থায় ছিলো বলেও জানান।  

তবে ফিরে আসার ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও তাদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলেনি বলেও জানান রক্তিম।

এদিন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের দু’জনকে আগরতলার কৃষ্ণনগর ও শ্যামলীবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ও বাকি দুই জনকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা থেকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাদের নাম বলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৭
এসসিএন/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।