ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

টিআরটিসিকে ‘বাঁচাতে’ উদ্যোগী বিজেপি সরকার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৮
টিআরটিসিকে ‘বাঁচাতে’ উদ্যোগী বিজেপি সরকার ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের একটি বাস। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার বিভিন্ন শহরের যোগাযোগ স্থাপনের সেবা দিতে ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সরকার গঠন করে ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (টিআরটিসি)। চালু হয় আগরতলা থেকে বিভিন্ন শহরে টিআরটিসির বাস পরিসেবা। কিছু দিনের মধ্যেই টিআরটিসি বিপুল জনপ্রিয়তা পায় এবং সরকার এ খাত থেকে প্রচুর আয়ও করে। 

এর ফলে সরকার আগরতলা থেকে একেবারে দক্ষিণের শহর সাব্রুম ও উত্তরের শহর ধর্মনগর, এমনকি গন্ডাছড়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায়ও বাস চালু করে। রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে টিআরটিসির বাস চলতে থাকে আসামের গৌহাটি ও শিলচরের সঙ্গেও।

লাভ দেখে পরবর্তী সময়ে ট্রাকে করে পণ্য পরিবহনও চালু করে টিআরটিসি।  

কিন্তু ত্রিপুরায় গত ২৫ বছরে যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল, তাদের আমলে টিআরটিসি লোকসানের খাতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করে সদ্যগঠিত বিজেপি সরকার। একসময়ের এ লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে তাই আগের সেই রূপে ফিরিয়ে আনতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ ধরছে তারা। আশা করছে, টিআরটিসি শিগগির আবার সেই লাভের খাতে পরিণত হবে।

এ নিয়ে ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহ রায় বাংলানিউজকে বলেন, টিআরটিসির বর্তমান অবস্থা, আগের অবস্থা, কতোগুলো রুটে আগে চলতো, এখন চলছে, মোট কতোটি বাস চলছে, আর কতোগুলি বিকল, কেনইবা করপোরেশন ভালো অবস্থা থেকে খারাপের দিকে চলে গেলো; এসব বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট এলে দফতর এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

মন্ত্রী স্পষ্ট বলে দেন, এক সময়ের জনপ্রিয় এ পরিবহন সংস্থাকে আবার সক্রিয় করতে চাইছে বর্তমান সরকার। দফতর থাকবে অথচ মানুষ পরিসেবা পাবে না, এটা চলতে দেওয়া হবে না ।  
বিকল পড়ে আছে টিআরটিসির বিকল বাস।  ছবি: বাংলানিউজমন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহের সঙ্গে আলাপের পর আগরতলার গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য বিকল বাস ও ট্রাক পড়ে আছে।  

টিআরটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি আর দেববর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, সরকারের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন টিআরটিসির। কাজ করছেন করপোরেশনকে পূর্ণোদ্যমে সচল করার।

দেববর্মা জানান, বর্তমানে টিআরটিসির ২৪টি বাস চলছে আগরতলা ও তার আশেপাশের এলাকায়। নতুন সরকার আসার পর আরও ছয়টি বাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

তিনি জানান, বর্তমানে টিআরটিসি আগরতলা থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হয়ে কলকাতা রুটে চলাচল করছে। তাদের এ অত্যাধুনিক এসি ভলবো বাস পরিসেবা লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। এই রুটে টিআরটিসি ২০১৫ সালে একটি বাস চালু করলেও লাভজনক হওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরও একটি বাস যোগ হয়েছে।  

করপোরেশনের পরিকল্পনা জানিয়ে দেববর্মা জানান, আগরতলা থেকে মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং শহরের মধ্যে বাস পরিসেবা চালু করা হবে। পণ্য পরিবহন ফের চালু করতে টিআরটিসি পাঁচটি ট্রাক কিনছে।  

নতুন রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ১০০ দিন বেঁধে দিয়েছেন টিআরটিসিকে দাঁড় করানোর। এরমধ্যে করপোরেশন ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেববর্মা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এসসিএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।