ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

দীর্ঘদিন বন্ধ সিরামিক কারখানা, খবর জানেন না বিধায়ক

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৮
দীর্ঘদিন বন্ধ সিরামিক কারখানা, খবর জানেন না বিধায়ক বন্ধ হয়ে আছে সিরামিকের কারখানাটি

আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যে নেই বড় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান। যেন শিল্পের মরুভূমি রাজ্যটি। এ রাজ্যে ভারী শিল্প স্থাপিত না হওয়ার অন্যতম কারণ অন্য রাজ্য থেকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল নিয়ে আসা। এছাড়া ত্রিপুরায় উৎপাদিত পণ্য দেশের অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘপথ।

ভারত সরকারের সহযোগিতায় নানা সময় মাঝারি ও ছোট শিল্প কারখানা স্থাপিত হলেও সেগুলোর খবর রাখে না রাজ্য সরকার। তাদের উদাসীনতা, সুষ্ঠু পরিচালনার অভাবসহ নানা কারণে বেশিরভাগ কারখানা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী আনন্দনগরের সিরামিক সামগ্রী তৈরির কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ত্রিপুরা সরকারের খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের উদ্যোগে তৎকালীন কংগ্রেস টিইউজেএস জোট সরকারের সময় এটি স্থাপিত হয়। আনন্দনগর স্কুলের ঠিক উল্টোদিকে বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিলো কারখানাটি।

বন্ধ হয়ে আছে সিরামিকের কারখানাটিস্থানীয় বাসিন্দা পরিমল দে বাংলানিউজকে জানান, এই কারখানায় এক সময় তৈরি হতো সিরামিকের চা-কফির কাপ, প্লেট, ডিস ইত্যাদি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কারখানার শ্রমিক ও বড় বড় মেশিনের শব্দে জমজমাট থাকতো গোটা এলাকা। কিন্তু ১৫ বছর আগে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। এরপর আর খোলেনি।  

তিনি জানান, এই কারখানার শ্রমিকরা একসময় বেশ ভালোভাবে জীবনযাপন করলেও কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর খুব কষ্টে আছেন। এই কারখানা চালু করতে নানা দফতরে যোগাযোগ করা হলেও কোনো কাজ হয়নি।

কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক মেশিন চুরি হয়ে গিয়েছে আর কিছু মেশিন এখনও পড়ে আছে। মেশিনগুলোতে জমে আছে ধূলা ও মাকড়সার জাল।

কারখানার বাইরে সিরামিক গলানোর দুটি চুল্লির চারপাশে আগাছা জন্মেছে। চিমনির উপরেও গজিয়েছে নানা গাছ। পাশেই পড়ে আছে চুল্লির জ্বালানি কয়লার স্তুপ ও সিরামিকের কাঁচামাল। বন্ধ কারখানার বারান্দা গরু-ছাগলের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যা নামলে কারখানা চত্বরটি হয়ে উঠে মাদকসেবীদের আড্ডাখানা।  

স্থানীয় বাসিন্দা রাখাল দাস বাংলানিউজকে বলেন, কারখানাটি আবার চালু হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।  

এলাকাবাসী রাজ্যের নতুন সরকারকে কারখানাটি চালু করতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রামপ্রাসাদ পাল বাংলানিউজকে জানান, এমন কোনো কারখানার খবর আমার জানা নেই। কেউ তাকে এই বন্ধ কারখানার বিষয়ে কিছু বলেনি।

তিনি উল্টো জানতে চান এই কারখানায় কী তৈরি হতো ও কোন দফতরের অধীনে ছিলো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ১৯ জুন, ২০১৮
এসসিএন/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।