শুক্রবার (২২ জুন) আগরতলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি বিক্রি করতে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এর আগে কয়েকদিন ধরেই তিনি কিডনি বিক্রির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে ওই নারীর স্বামী ঋণ রেখে মারা যান। এরপর থেকেই সংসারে নেমে আসে অভাব। সেইসঙ্গে শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে তাড়িয়েও দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে তার স্বামীর ঋণ পরিশোধ, মেয়ের পড়াশোনা ও সংসার চালানোর জন্য আর কোনো পথ ছিল না তার কাছে। শেষপর্যন্ত গত কয়েকদিন ধরে নিজের কিডনি বিক্রি করতে আগরতলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পাপিয়া শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অসহায় এ নারী। পরে তিনি কিডনি বিক্রি করতে হাসপাতালে আসলে ডা. পাপিয়া তাকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন এবং ‘চাইল্ড লাইন’ নামে একটি সেবা সংস্থার দায়িত্বে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এসসিএন/টিএ