গত ৮ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং হরতালকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে মাধববাড়ী এলাকায়।
অভিযোগ উত্তেজিত হরতালকারী স্থানীয় এলাকার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) আগরতলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে আসেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলে শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জেনে নেন।
তিনি তাদের জানান, ত্রিপুরা সরকার চিকিৎসা সেবার সম্পূর্ণ খরচ দিচ্ছে। তারা যখন অনুভব করবে সম্পূর্ণ সুস্থ তখনই যেন হাসপাতাল থেকে বাড়ি যান।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চলে যান মাধববাড়ী এলাকায়। সেখানে গিয়ে তিনি সংঘর্ষে দিন আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের সঙ্গে কথা বলেন ও আশ্বাস দেন তাদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা করার।
এরপর তিনি চলে যান জিরানীয়া এলাকায় এন আই টি ক্যাম্পাসের পাশে। সেখানেও ৮ জানুয়ারি সংঘর্ষে ক্ষতি হয় কয়েকটি দোকানের। তিনি এসব দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে সহায়তার আশ্বাস দেন। এরপর তিনি চলে যান দশরামপাড়া এলাকায়। সেখানে সংঘর্ষের দিন কে বা কারা ত্রিপুরার প্রয়াত মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুরের মূর্তির একটি হাত কে বা কারা ভেঙে ফেলে তা তিনি দেখে আসেন। এই এলাকার জনগণকে আশ্বাস দেন সেটি সংস্কারের কাজ করে দেবে সরকার।
সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ওদিন যাদের গুলি লেখেছে তাদেরকে এক লাখ রুপির চেক দেওয়া হবে। সেসঙ্গে চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার। যেসব দোকান আগুনে পুড়েছে তাদের কে প্রাথমিকভাবে ৫ থেকে ১০ হাজার রুপি করে দেওয়া হয়েছে ক্ষতির পরিমাণ বুঝে। তাদেরকে আরো ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়া হবে। আর যাদের বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে আরো কিছু আর্থিক সহায়তা দেবে ত্রিপুরা সরকার।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে তদন্ত শেষ হলে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় পাওয়া যাবে ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরার জনজাতি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, স্থানীয় বিধায়ক সুশান্ত চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
এসসিএন/এএটি