এদিন মূল অনুষ্ঠানটি হয় রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল অধ্যাপক কাপ্তান সিং সোলাঙ্কি, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা, রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মা, ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যসচিব এল কে গুপ্তা, ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক (ডি জি) এ কে শুক্লা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে ত্রিপুরা পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা পেলেও এখনও কেন্দ্রের (ভারত সরকারের) উপর নির্ভরশীল।
বিজেপি-আইপিএফটির নতুন সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এজন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হলো অনলাইনে টেন্ডার, ই-রেশনিং ব্যবস্থা, পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরি, ভারতের সঙ্গে ব্রডগেজ রেলপথে একাধিক নতুন ও দ্রুত গতির ট্রেন, বাংলাদেশের রেলপথে ও নদীপথে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরাসহ উত্তরপূর্ব ভারতের উন্নয়নের জন্য নতুন এবং অনেক ভালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য স্বচ্ছ নিয়োগ এবং বদলি নীতি তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের স্কুলগুলোতে সর্বভারতীয় স্তরের পাঠ্যক্রম চালু করা হয়েছে। এমনকি গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য সহজ ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন থেকে সরকার নবম শ্রেণির সব ছাত্রীদের বিনামূল্যে বাইসাইকেল দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল অধ্যাপক কাপ্তান সিং সোলাঙ্কি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দের দিন। ত্রিপুরা রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষও উপস্থিত হয়ে ছিলেন।
১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি তা পূর্ণ রাজ্যের মর্য্যাদা পায়। এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে পূর্ণরাজ্য হিসেবে উদযাপন করা হয়। এই দিন ত্রিপুরা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরপূর্ব ভারতের মনিপুর এবং মেঘালয় রাজ্যকেও পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা দেয় ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এসসিএন/এএটি