বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ মাসের মধ্যে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌপরিবহন শুরু হচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
সড়ক পথে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ত্রিপুরা রাজ্যের আটটি জেলা থেকেই সড়ক পথে বাংলাদেশে যাতায়াত করা যায়। সড়ক পথের পাশাপাশি ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেনে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ কাজ চলছে। আর এই যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের সর্বশেষ সংযোজন ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে নদী পথে নৌপরিবহনের উদ্যোগ।
সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতায় নতুন সরকার আসার পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌপরিবহন শুরু করার জন্য বিশেষ আগ্রহ দেখান। তার এই আগ্রহের কারণে ভারত সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে উভয় দেশ সহমতে আসে। স্থির হয় বাংলাদেশের আশুগঞ্জের মেঘনা নদী থেকে গোমতী নদী হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার শ্রীমন্তপুর পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে মাঝারি আকারের জাহাজ চালানো হবে। তবে এজন্য গোমতী নদীর পলি অপসারণ করতে হবে। ত্রিপুরার নদীপথে শ্রীমন্তপুর থেকে বাংলাদেশের আশুগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি.।
এ বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখতে ভারত ও বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল দু’দিনের সফরে আগরতলায় আসবেন। উভয় দেশের প্রতিনিধি দল আগরতলায় বৈঠক করবেন এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌ-চলাচলকারী গোমতী নদী সরেজমিনে ঘুরে দেখবেন। তারা গোমতী নদীর ভারত এবং বাংলাদেশের উভয় অংশ ঘুরে দেখতে পারেন। আগামী ২৮ জানুয়ারি দু’দিনের জন্য তারা আগরতলায় আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এসসিএন/জেডএস