গ্রাম দু’টি হলো সিপাহীজলা জেলার আমতলী ও আগরতলা পুরনিগম এলাকার অন্তর্গত ইছামায়া গ্রাম।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গোর্খাবস্তি এলাকার বিজ্ঞান প্রযুক্তি ভবনের সভা কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা, ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতর’র মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ, ভারত সরকারের জ্বালানি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান সংস্থা’র (ও এন জি সি) ত্রিপুরা ক্ষেত্রের ম্যানেজার জি কে সিংহ রায়, জৈব প্রযুক্তি দফতর অধিকর্তা অনিমেষ দাস, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার অঞ্জন সেনগুপ্ত প্রমুখ।
সরকার’র জৈব প্রযুক্তি দফতর এবং ও এন জি সি মিলে এই দু’টি গ্রামকে সম্পূর্ণরূপে জৈবগ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তাই এ সংক্রান্ত বিষয়ে উভয় দফতরের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা বলেন, বর্তমান সময়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষ হচ্ছে সময় উপযোগী একটি পদক্ষেপ। এসব কাজের জন্য এনজিওগুলোকে যুক্ত করতে হবে। এই কাজে বিপণন অত্যন্ত জরুরি। গুরুত্ব সহকারে বিপণন করলে বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে সবজি বিক্রি করা যাবে।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ বলেন, রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন ঘটানোর কাজ করছে দফতর। এই সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি ও আর্তসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা। মানুষ এখন জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি খোঁজে, কিন্তু চাহিদা মতো এমন সবজি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। আগামীতে রাজ্যের অন্যান্য গ্রামীণ এলাকাতেও জৈব চাষ ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি